সাধারণত চৈত্রের শেষ কিংবা গ্রীষ্মের শুরুতে বাজারে দেখা মেলে কাঁচা আমের। তবে এবার মাঘের শুরু থেকেই দেশের কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা আম।
আর এই কাঁচা আমের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
জেনে নিন কাঁচা আমের কিছু উপকারী দিক-
ওজন কমাতে সাহায্য করে: যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য অনেক উপকারি এই কাঁচা আম। কেননা পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আমে চিনি কম থাকে যার ফরে এটি ক্যালরি কমাতে সাহায্য করে।
বমি ভাব দূর করে: আমাদের মধ্যে অনেকের সকালে উঠে বমি বমি ভাব পায়। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের। তাদের এই সমস্যা দূর করতে পারে কাঁচা আম।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ: ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কাঁচা আম। সেজন্য ডায়বেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীরা কাঁচা আম খেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপকারী কাঁচা আম। টুকরো করে আম কেটে লবণ মাখিয়ে তা মধুসহযোগে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
রক্তের সমস্যা দূর করে: কাঁচা আমে রয়েছে আয়রন বা লৌহ। যা রক্তস্বল্পতা সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী
অম্লতা দূর করে: অনেকেই বুক জ্বালাপোড়া বা অম্লতার সমস্যায় ভুগছেন। কাঁচা আম এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। অম্লতা কমাতে কাঁচা আমের এক টুকরো মুখে দিতে পারেন।
চুল ও ত্বক উজ্জ্বল করে: কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে তা চুল ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে ৷