মাসুদ পারভেজ : আহ্ ছানিয়া মিশন ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তরার ১০ নাম্বার সেক্টর আহ্ ছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল ভবনের শফিকুল আলম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ননকমিনেকেবল ডিজিজ (এনসিডি)অধ্যাপক ডাঃ রোবেদ আমিন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসাদুজ্জামান নূর (এম পি)।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আহ্ ছানিয়া মিশন ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রফেসর ডাঃ কামরুজ্জামান, গভর্নিং বডির সদস্য প্রফেসর ডাঃ আব্দুল হাই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহ আরো অনেকে উপস্হিত ছিলেন। হাফেজ মাওলানা এনামুল হোসেনের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথি বৃন্দ ২০২১-২২ ক্যান্সার রেজিস্ট্রার রিপোর্ট বইটির মোড়ক উন্মোচন শেষে কেক কেটে মুল আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু করেন। এসময়,অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি বৃন্দ বলেন দিন দিন ক্যান্সার রুগির হার বেড়ে চলছে,এটি একটি দূরারোগ্য রোগ। সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে প্রথমে রোগ নির্ণয়, রোগ প্রতিরোধ এবং কর্মশালায় জনশক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়াও ক্যান্সার গ্যাপ কমাতে প্রতিটি মেডিক্যালে ক্যান্সার কর্নার তৈরি করা ও প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। সর্বোপরি সম্মনিত চিকিৎসার মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে ক্যান্সার রোগীকে সুস্থ করে বাঁচানো সম্ভব।তারা বলেন,ক্যান্সার হলে ভয় নয়, ভালোবাসার মাধ্যমে আমরা এটিকে করবো জয় । অনুষ্ঠানে আমন্রিত আলোচক ও চিকিৎসকরা মনে করেন সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানরা এগিয়ে আসার মাধ্যমে প্রতিটি জেলায় ১টি করে ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করে গ্রামের মানুষকে ও সেবার আওয়াতায় আনা প্রয়োজন। গ্রাম থেকে আসা রুগীদেরকে কম মূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডাঃ রোবেত আলম বলেন,স্বাস্থ্য মন্রনালয় দীর্ঘ দিন যাবত ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা জানতে কাজ করে আসছে। গত বছর আহ্ ছানিয়া ক্যান্সার মিশন জেনারেল হাসপাতাল সহ ২ টি হাসপাতালে গত ২ মাসে ৫ হাজার রুগীর সন্ধান পাওয়া যায়। আমরা কাজ শুরু করেছি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা নির্ণয় করতে সক্ষম হবো এবং ক্যান্সারে সুত্র জেনে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হবে।
প্রফেসর ডাঃ আব্দুল হাই বলেন, ক্লোজ দা কেয়ার, ক্লোজ দা গ্যাপ ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আমাদের আজকের এই আয়োজন। ২০০৪ সাল থেকে এই হাসপাতালটি স্থাপিত হয়। আমরা হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে আজ ৮৪ বছর বয়সে এসে ক্যান্সার রেজিস্ট্রার রিপোর্টের বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। তিনি আরো বলেন ডায়াট পরিবর্তন,কন্ট্রোল ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ও ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব।
আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃক আয়োজিত বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান নূর (এমপি)বলেন, আমাদের ও সীমাবদ্ধতা আছে, আমরা চাইলেও সব কিছু পারিনা। প্রতিদিন ক্যান্সারের মতো ব্যায়বহুল চিকিৎসার জন্য গ্রাম থেকে ছুটে আসা গরীব অসহায় রুগীদের জন্য কিছু না কিছু করতে হয় । আমাদেরকে সংঘবদ্ধভাবে প্রাণঘাতী ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনসচেতনতা মূলক কাজ করে সাধারণ জনগণকে সচেতন করতে হবে। প্রধান অতিথি আরো বলেন, আমাদেরকে ধুমপান বন্ধ করতে হবে এছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সচেতনতা মূলক সকল বিষয়ে তিনি তাদের সাথে থাকবেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আহ্ ছানিয়া মিশন ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল আলম।