তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, তুরস্ক ও সিরিয়ার এমন বিপদের দিনে বাংলাদেশ সরকার এবং এ দেশের জনগণ তাদের পাশে আছে।
সোমবার এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রী আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদও পৃথক বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি তার বার্তায় বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ার এই বিপদের সময় বাংলাদেশ তাদের পাশে আছে। রাষ্ট্রপতি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। এর গভীরতা ভূপৃষ্ঠে থেকে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটারে।
এরপর সোমবার দুপুরে ও বিকেলে আরো দুইবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরমধ্যে তুরস্কের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে ৭.৬ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানায় তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রেসিডেন্সি (এএফএডি)।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের পাশাপাশি ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাও। ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। ক্ষণে ক্ষণে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ ও আহতদের। নিহতের সংখ্যা প্রায় দুই হাজারে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
হাসপাতাল ও ধসে পড়া ভবনগুলোর সামনে স্বজনদের খুঁজতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। সোমবার ভোররাতের এই ভূমিকম্পের সময় বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩১৮ জনে। নিহতদের মধ্যে তুরস্কে ১ হাজার ৪৯৮ জন, সিরিয়ায় ৮২০ জন। অনেকে এখনো নিখোঁজ। আশঙ্কা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এদিকে নিহতের এ সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।