পরদিন জবাইয়ের জন্য কসাইখানায় গরু বেঁধে রেখেছিলেন সোহাগ মিয়া। তবে তিনি জবাইয়ের আগেই সেই গরু কসাইখানাতেই জবাই করে মাংস নিয়ে গেল চোর।
শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা সদরের ফেরিঘাট এলাকায় পংকু মিয়ার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
গরুর মালিক সোহাগ মিয়ার অভিযোগ, কে বা কারা রাতের আঁধারে কসাইখানায় রেখে যাওয়া তার একটি গরু জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে ।
তবে স্থানীয়রা জানান, ফেরিঘাট এলাকায় পংকু মিয়ার বাজারে ১২টি গরুর মাংস বিক্রির ঘর রয়েছে। প্রতিদিনই একাধিক গরু জবাই হয় এখানে। সোহাগ মিয়ার গরু জবাই করে মাংস নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক।
ব্যবসায়ী সোহাগ আরো বলেন, প্রতিদিনের মতই রমজান উপলক্ষে জবাই করার জন্য নরসিংদীর নারায়ণপুর থেকে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনে নিয়ে আসি। শনিবার (১ এপ্রিল) রাত ১০টায় গরুকে খাবার খাইয়ে বাড়িতে যাই। পরে ভোর ৫টায় এসে দেখি কসাইখানায় গরুর চামড়া পড়ে আছে। জবাই করে কে বা কারা মাংস নিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, কসাইখানার পাশে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, কসাইখানায় গরু জবাইয়ের বিষয়টি দুঃখজনক। এখনো এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।