বঙ্গোপসাগরে আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে নাগরিকদের সেবা প্রদানের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।
নগরের দামপাড়ায় এ কন্ট্রোল রুমের ০২৩-৩৩৩-৬৩০-৭৩৯ জরুরি সেবা নম্বরে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য ও সেবা পাবে চট্টগ্রামবাসী।
বুধবার (১০ মে) চসিকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটির সভায় চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানলে যাতে সাধারণ মানুষের জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যায় এবং দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার কাজ সর্বোচ্চ গতিতে পরিচালিত হয়, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেগুলো হলো- ৪১টি ওয়ার্ডে ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতকরণ, কন্ট্রোল রুম গঠন, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রস্তুতি সভা ও ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিবেগ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জরুরি যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ।
এছাড়া নাগরিকদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে প্রতিটি এলাকায় করা হবে মাইকিং। পাশাপাশি আরবান মেডিকেল টিম, আরবান ভলান্টিয়ার ও উদ্ধারকর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় যানবাহন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সড়কবাতি নির্বিঘ্ন রাখার জন্য প্রস্তুতিও নেয়া হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিম, মো. ইলিয়াছ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী (টিপু), ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমাম হোসেন রানা, রেড ক্রিসেন্টের সিটি সম্পাদক আব্দুল জব্বার, নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী চৌধুরী প্রমুখ।