প্রবাসে থাকাকালে রাসেলের সঙ্গে রং নাম্বারে প্রেম হয় তরুণীর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ছুটিতে বাড়িতে আসেন রাসেল। এরপর বিয়ের আশ্বাসে ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রাসেল। একপর্যায়ে তাকে বিয়ে করার জন্য বললে প্রেমিক রাসেল নানান তালবাহানা শুরু করে। নিরুপায় হয়ে মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানালে তারা থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। পরে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ উভয় পরিবারকে ডেকে তাদের বিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ের চার মাস পরও থেকে ওই তরুণীকে বাড়ি নেননি রাসেল। ফলে বাধ্য হয়ে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন ওই তরুণী।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকালকিনি ইউনিয়নের চরসামসুদ্দিন গ্রামের ছৈয়দ আহম্মদ মিস্ত্রির বাড়িতে। এদিকে অনশনরত ওই তরুণীকে পিটিয়ে আহত করেন স্বামী রাসেলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত তরুণীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
এ ঘটনায় রাত ১১টার দিকে স্বামী রাসেলসহ শ্বশুরবাড়ির পাঁচজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তরুণীর বাবা। অভিযুক্ত প্রবাসী রাসেল পার্শ্ববর্তী চরকালকিনি ইউনিয়নের চরসামসুদ্দিন গ্রামের ছৈয়দ আহম্মদের ছেলে।
ওই তরুণী জানান, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাসেল প্রবাসে থাকা অবস্থায় রং নাম্বারের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাসেল ছুটিতে বাড়িতে আসেন। দেশে এসে বিয়ে করার আশ্বাসে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাকে বিয়ে করার জন্য বললে প্রেমিক রাসেল নানান তালবাহানা শুরু করে। এরপর বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে জানালে তারা থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।
পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ উভয় পরিবারকে ডেকে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে রাসেল শ্বশুরবাড়িতে আসা-যাওয়া করার চার মাস পরও তাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে গোপনে আবারো বিদেশে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে শুক্রবার বিকেলে রাসেলের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন তিনি। এ সময় রাসেলসহ তার পরিবারের লোকজন তাকে পিটিয়ে জখম করেন।
কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করা কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠারনা হয়েছে। অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।