বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর অবস্থান প্রতি মুহূর্তেই ওঠানামা করে। রাতে বাড়ে তো সকালে কমে, আবার সকালে বাড়লে দুপুরে কমে। রাজধানী ঢাকার বায়ুমানের তেমন কোনো উন্নতি নেই।
সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার (৩ জুন) দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে দক্ষিণ আফিকার জোহানেসবার্গ শহর রাজধানী জাকার্তা; আর ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। এদিন দুপুর ১২টায় আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক এ তথ্য জানিয়েছে।
একিউআই স্কোর ১৫৩ নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঢাকা। ১৫৯ স্কোর নিয়ে জাকার্তা শীর্ষ দূষিত শহর হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। এরপরই ১৫৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গ, ১৫৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর শহর আর চতুর্থ স্থানে থাকা ভারতের কলকাতা শহরের স্কোর ১৫৪।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
এদিকে, ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।