উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে চলছে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এবার সবগুলো কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
কিছু কিছু বুথে ইভিএমে ভোট দিতে বেশি সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। তবে বেশিরভাগই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বরিশাল সরকারি কলেজে ভোট দেয়া শেষে রফিকুল ইসলাম নামের এক ভোটার জানান,
ইভিএমে প্রথম ভোট দিয়েছেন তিনি। তার ১৫ মিনিটের মতো সময় লেগেছে।
আর সাগর চন্দ্র দাস নামের একজন বলেন,
তার সময় লেগেছে মাত্র দুই মিনিট। তিনিও ইভিএমে প্রথম ভোট দেন।
তবে কোনো কোনো বুথে ২০ মিনিট পার হয়ে যাওয়ার পরেও ভোটগ্রহণ সম্ভব হয়নি বলে ভোটারদের কেউ কেউ জানিয়েছেন।
শুরুতে ভোটার সংখ্যা কম থাকলেও সময় যত গড়াচ্ছে ততই ভিড় বাড়ছে। কিছু অসুবিধা ছাড়া ভোটাররা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিয়ে বের হচ্ছেন।
গোপাল চন্দ্র দাস নামে এক ভোটার বলেন, খুব স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিয়েছি। কোনো সমস্যা হয়নি।
মফিজ হাওলাদার নামের এক ভোটার বলেন,
আগে যেভাবে ভোট দিতেন, তার চেয়ে ইভিএম অনেক সহজ মনে হয়েছে। আনন্দ নিয়ে ভোট দিয়েছেন।
আহসান উল্লাহ খান বলেন, পুলিশসহ সবাই সহযোগিতা করেছেন। ভোট দিতে পেরে আমি খুশি।
বরিশালের মেয়র প্রার্থী যারা
আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি, বিএনপি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)।
এ ছাড়া বরিশাল সিটির ৩০টি ওয়ার্ডে ১১৮ জন সাধারণ এবং ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।