নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ১৮ আসনের ১৪ দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা দয়াল কুমার বড়ুয়া উত্তরা বসবাসরত গনমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের উত্তরা বসবাসরত গনমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারে মঠে নেমেছেন। এরই মধ্যে সাধার ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন দয়াল কুমার বড়ুয়া । এই আসনে সাবেক জাতীয় পার্টির নেতা বাহাউদ্দিন বাবুলের গড়া নেতা-কর্মীরা দয়াল কুমার বড়ুয়ার সাথে যোগ দিয়েছন।
সাধারণ ভোটারদের দাবী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে সারা দেশে উন্নয়ন হলেও ঢাকা ১৮ আসনটি ঢাকার প্রান কেন্দ্রে হলেও এখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। রাজনৈতিক নেতারা শুধু আশ্বাস দিয়েছেন। কোন কাজ করেন নি, শুধু নিজেদের আখের বানাইছেন। দয়াল কুমার বড়ুয়া একজন উচ্চ শিক্ষিত, স্বচ্ছ ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি । আগামী নির্বাচনে আমরা এমপি হিসেবে দয়াল কুমার বড়ুয়াকে চাই।
পল্লী বন্ধু এরশাদের হাত ধরেই বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়। দয়াল কুমার বড়ুয়া পল্লী বন্ধু এরশাদকে হৃদয়ে ধারণ করেন। তাই দয়াল কুমার বড়ুয়ার হাত ধরেই ঢাকা ১৮ আসনের উন্নয়ন করা সম্ভব। দয়াল কুমার বড়ুয়া ঢাকা ১৮ আসনের উন্নয়নের রুপকার হবেন বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা দয়াল কুমার বড়ুয়া বলেন, আমার ব্যক্তিগত জীবনে চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। আমার একমাত্র ছেলে আমেরিকায় পড়া-লেখা করছে। ব্যবসায়ী হিসেবেও আমি এজন সফল ব্যক্তি। দীর্ঘ দিন ধরে আমি বাংলাদেশ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। আগামী দিনে আমি ঢাকা ১৮ আসনের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই এবং মানুষের হৃদয়ে বাঁচতে চাই।
দয়াল বড়ুয়া বলেন, ঢাকা-১৮ আসনটির ১ ও ৫১ নং ওয়ার্ড ব্যতিত বাকী ১২ টি ওয়ার্ডের সাধারন মানুষ কষ্টে জীবন জযাপন করছেন। এইসব ওয়ার্ডে সমস্যার শেষ নেই। গ্যাস ও পানি সংকট, জলাবদ্ধতা ও রাস্তাঘাট সংকীর্ণ এই অঞ্চলের প্রধান সমস্যা। যত্রতত্র ময়লার ভাগাড়। উত্তরখান, দক্ষিনখান এলাকায় ময়লা রাখার ডাম্পিং না থাকায় বাসা বাড়ি থেকে নিয়মিত ময়লা পরিস্কার করা যাচ্ছেনা। বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাট সরু ও ভাঙাচোরা। এতে চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন এই আসনের বাসিন্দারা।
এছাড়া চুরি-ছিনতাই, সর্বত্র মাদকের ছড়াছড়িসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এ এলাকার বাসিন্দারা। এতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এখনও পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ এ এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বহুদিন। এ এলাকায় এখনও ফুটে উঠে গ্রামের প্রতিচ্ছবি। বিগত কয়েক বছরে এ এলাকায় তেমন কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। প্রতিটি এলাকায় এখনও কাঁচা সড়ক। আর পাকা সড়কগুলোও চলাচলের অনুপযোগী। বাড়ির আশপাশে ডোবানালা বা খালি জায়গায় যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা।
আমি এমপি নির্বাচিত হলে এখানের সব উন্নয়নমূলক কাজ করে যাব। এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ অবৈধ দখল, সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ করব। আধুনিক নগরায়নের মাধ্যমে নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষা-সংস্কৃতির মান উন্নয়ন করে সবার জন্য আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করব। গরিব-দুঃখী ও ছিন্নমূল মানুষের পাশে থেকে আজীবন সেবা করে যাব।