প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা যুদ্ধাপরাধী ছিল, তারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। তাদের বিচার না করে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে জিয়াউর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বক্তব্য দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাবাকে হত্যা করে আমাদের মানবাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আমাদের কোনো ভোটাধিকার ছিল না। আমরা কখনও বিচার চাইতে পারিনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মানবাধিকার হারিয়েছিলাম। তাই আমরা মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করছি।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘বিএনপি যে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী একটি দল সেটি আমার কথা নয়; কানাডার একটি কোর্ট এক রায় দিয়ে এটা বলেছেন। বিএনপির সন্ত্রাসী, যারা মানুষ হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস ও লুটপাট করেছে, তারা কানাডায় গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিল। তখন তারা এই ঘোষণা দেয় যে বিএনপি একটি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী দল।’
ভোটের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করা লাগে না। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট পায়। আওয়ামী লীগ আস্থা দিয়ে, কাজের মধ্যদিয়ে জনগণের ভোট পায়। আওয়ামী লীগকে যতবার হারানো হয়েছে, ততবারই চক্রান্ত করে হারানো হয়েছে। জনগণের ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগকে হারানো হয়েছে।’
যখনই এ দেশে মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে, তখনই আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। তার প্রমাণ ২০১৮ সালের নির্বাচন। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আওয়ামী লীগকে জনগণ ভোট দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।