ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরের ভাঙ্গাগামী একটি বাসের যাত্রী মাদরাসা পড়ুয়া ১৩ বছরের এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় ঐ বাসের কন্ডাক্টর ও হেলপারসহ এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ঐ ছাত্রীর বাবা কালাম শেখ বাদী হয়ে সোমবার বিকেলে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- প্রচেষ্টা পরিবহনের কন্ডাক্টর আসিফ সরদার, হেলপার রাকিব মাতুব্বর ও তার মা লিলি বেগম।
মেয়েটির দুলাভাই সুমন আহমেদ বলেন, আমার শালিকা ঢাকার হাজারীবাগ এলাকার একটি মাদরাসায় পোড়াশোনা করে। হাজারীবাগে একটি ভাড়া বাসায় আমাদের সঙ্গেই থাকে সে। গত রোববার (৩০ জুলাই) বিকেলে তাকে আমার শ্বশুরবাড়ি নগরকান্দার পীরের গ্রামে যাওয়ার জন্য বাবুবাজার থেকে ভাঙ্গাগামী প্রচেষ্টা পরিবহনের একটি বাসে তুলে দেই। তার জন্য ভাঙ্গায় অপেক্ষা করছিলেন আমার শ্বশুর।
মেয়েটির বাবা বলেন, মেয়েকে না পেয়ে তার ফোন কল করলে বন্ধ পাই। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাতে পুলিশকে জানানো হয়।
ভাঙ্গা থানার এসআই জুয়েল বলেন, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এ ব্যাপারে একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়ে পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। এরপর সোমবার সকালে ঐ বাসের সুপারভাইজার আসিফকে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্যমতে, হেলপার রাকিবের বাসা থেকে ঐ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ভাঙ্গায় পৌঁছার পর মেয়েটিকে বাস থেকে না নেমে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কিছুদূর সামনে নিয়ে নামিয়ে হেলপার রাকিবুলের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার এসআই মনির বলেন, অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। ঐ ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কি না তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।