সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে আগত পর্যটক ও পর্যটকবাহী নৌযানের নিরাপত্তায় ১০ দফা নির্দেশনা জারি করেছে মধ্যনগর পুলিশ।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করে ঐ থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, হাওরের পরিবেশ রক্ষা, নৌ-দুর্ঘটনা এড়ানো, গণউপদ্রব রোধ এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এ নির্দেশনাগুলো জারি করা হয়েছে। আশা করছি- নৌযান সবাই এই নির্দেশনা মেনে চলে নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রাকৃতি সুন্দর্য মন্ডিত টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশকে ঠিক রাখবেন।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. কোন নৌযানে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পর্যটক বা যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
২. নৌযান চলাচলের সময় কিংবা পানিতে নামার সময় প্রত্যেক পর্যটক এবং নৌচালক আবশ্যিকভাবে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করবেন।
৩. বিরূপ আবহাওয়া থাকলে নদীতে কিংবা হাওরে ভ্রমণ করা যাবে না।
৪. প্রতিটি নৌযানকে হাওর বাননদীতে যাত্রা শুরুর অন্তত ৬ ঘণ্টা পূর্বে নির্ধারিত ফরমে মধ্যনগর থানার ডিউটি অফিসারকে (মোবাইল নম্বর-০১৩২০-১২১০৫৫) অবহিত করতে হবে।
৫. পর্যটকদেরকে ও নৌচালকদেরকে নৌযানে এবং স্থলভাগে চলাচলের সময় মাঙ্ক পরিধান করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
৬. প্রতিটি নৌযানে এবং নৌঘাটে ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্ধারিত ডাস্টবিনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। নৌযান মালিক সমিতি এবং নৌচালকরা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
৭. নির্ধারিত স্থান ছাড়া হাওর বা নদীর পানিতে বা স্থলভাগের কোথাও কোন ধরনের ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না।
৮. পর্যটকবাহী নৌযান যেকোনো স্থলভাগের কাছাকাছি অবস্থানকালে উচ্চশব্দে কোনো ধরনের মাইক বা লাউড স্পিকার বাজাতে পারবে না।
৯. প্রতিটি নৌযান, পর্যটকদের জন্য মানসম্মত পরিবেশ তথা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও পর্যাপ্ত সুবিধাদি নিশ্চিত করবে। পর্যটকদেরকে তাদের সার্বক্ষণিক নিজস্ব দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে হবে।
১০. নোঙরের স্থানে দুষ্কৃতিকারীরা থাকতে পারে। তাদের থেকে পর্যটকদেরকে সাবধান থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।