কালো কাপড়ে ঢেকে দেয়া হলো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বাড়ি। গ্রিনপিস ইউকে নামে পরিবেশবাদীদের একটি সংগঠন করেছে এমন কাজ। সুনাক সরকার পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নীতিকে পাশ কাটিয়ে উত্তর সাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমতি দেয়ায় এমন কাজ করেছে তারা। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে ঋষি সুনাকের ব্যক্তিগত বাড়িটি কালো কাপড়ে ঢেকে ফেলেন তারা। সুনাকের এই বাসভবনটি ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত।
মূলত ব্রিটিশ সরকারের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নীতিকে পাশ কাটিয়ে উত্তর সাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমতি দেয়ায় সুনাকের ব্যক্তিগত বাসভবন কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। সুনাক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ছুটি কাটাচ্ছেন।
যুক্তরাজ্যের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে সরকারিভাবে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নীতি গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। তাদের আন্দোলনের ফলে ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া এবং আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য কার্বন বা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত আসে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধজ্ঞা দেয়ায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাজ্যেও কয়েকগুণ বেড়ে যায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম। যার প্রভাব পড়ে ব্রিটিশদের জীবনযাত্রার ওপর।
সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো সংক্রান্ত আগের নীতি থেকে সরে আসার চিন্তা করে সুনাক সরকার। উত্তর সাগরের যুক্তরাজ্য উপকূলের গভীর ও অগভীর বিভিন্ন এলাকায় তেল ও গ্যাসের অনুসন্ধানের জন্য শতাধিক লাইসেন্স ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কয়লা অনুসন্ধানের লাইসেন্সও ইস্যু করবে সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। এরই জেরে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়েছে গ্রিনপিস ইউকে নামে সংগঠনটি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বাড়িটি কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়ার ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নর্থ ইয়র্কশায়ার পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার ব্যক্তিরা এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।