ভোলার লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. হোসেন হাওলাদার এবং তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) তাদের জামিনের আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
এর আগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি বর্তমান সংসদ সদস্যদের সমর্থক ও আবু নোমান হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এর রেশ ধরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও বিচারের দাবি করেন সাবেক দুই চেয়ারম্যান হোসেন হাওলাদার ও রিয়াদ হোসেন হান্নান। এর ফলে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে গ্রেপ্তার করিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
পথরোধ করে আটক, হত্যার উদ্দেশে মারধর, সাধারণ গুরুতর জখম, চুরি, ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন এবং হুকুম দেওয়ার অপরাধের অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এই মামলায় আসামি দেখিয়ে সাবেক দুই চেয়ারম্যানকে ৭ জুলাই গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
সাবেক দুই চেয়ারম্যানের পরিবার অভিযোগ করে জানায়, ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের সমর্থন করায় গত এক বছরে হোসেন হাওলাদারের নামে ১০টি ও রিয়াদ হোসেন হান্নানের নামে ৫টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।