ইলিশ মাছ, এমনিতেই জাতীয় মাছ হিসেবে সমাদৃত। তারপর যদি সাধ্যের মধ্যে হয়, তাহলো তো কোনো কথাই নেই। বরগুনা পৌর মাছ বাজারে ছোট সাইজের পাঁচটায় (২০০ গ্রাম করে) এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা দরে।
শুক্রবার দুপুরে খুচরা বিক্রেতা মাসুদ রানাকে ছোট সাইজের এ মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে তার কাছে মাছের পরিমাণ ছিল কম।
পৌর বাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতা মাসুদ হোসেন বলেন, আগে এই মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।
এখন বাজারে মোটামুটি মাছ সরবরাহ বেড়েছে। তাই ছোট সাইজের পাঁচটি মাছের কেজি বিক্রি করেছি ৪৫০ টাকা। অল্প কিছু মাছ আছে বিক্রি করে বাসায় যাব।
ক্রেতা বরগুনা সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের কুমড়াখালী কৃষক রশিদ ফরাজী ও তার ছেলে মেহেদী বলেন, চিংড়ি মাছ কিনতে বাজারে এসেছিলাম । বাজারে কম দামে ইলিশ পেলাম তাই এক কেজি কিনলাম ৪৫০ টাকায়। কম দামে ইলিশ কিনতে পেরে আমি অনেক খুশি। অনেকদিন পর আজ ইলিশ মাছ কিনলাম। আমার মনে হয় এগুলো জাটকা ইলিশ না। ১ কেজি ইলিশে আমি পাঁচটি মাছ পেয়েছি। মাছগুলো বরফ দেওয়া ছিল। তাই হয়তো দাম কম রেখেছে। ছোট সাইজের ইলিশের দাম কম হলেও বড় সাইজের ইলিশের দাম অনেক বেশি। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম দুই হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। বড় ইলিশ কেনার সামর্থ্য নেই তাই ছোট ইলিশ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চাই।
বরগুনা পৌর মাছ বাজার ব্যবসায়িক সমিতির সভাপতি মো.রফিক বলেন, আমাদের বাজারে যেসব ইলিশ মাছ পাওয়া যায় এগুলো সবগুলোই স্থানীয় নদীর মাছ। এই বাজারে নদীর ইলিশের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। গত দুদিন ধরে সরবরাহ মোটামুটি ভালো রয়েছে। দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব মুঠোফোনে বলেন, বাজারে কম দামে যে ছোট সাইজের ইলিশ পাওয়া যায় এগুলো জাটকা মাছ না। বাজারে মাছের সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কম থাকে এটাই স্বাভাবিক। আগামী দিনগুলোতে মাছের দাম আরো কমবে বলে আশা করছি।