বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) চালু করেছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার এ স্কিম উদ্বোধনের পর থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।
শুক্রবার রাত পর্যন্ত প্রথম কিস্তির টাকা জমা দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ২ হাজার ৯৫০ জন নিবন্ধন করেছেন। যদিও সাধারণ নিবন্ধনের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
শনিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নিয়ন্ত্রণ) বিলকিস জাহান রিমি বলেন, নিবন্ধন উৎসাহব্যঞ্জক। তবে আমরা শুধু রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু টাকা জমা দেননি সেই হিসাবটা করতে চাইছি না। যারা টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন নিয়েছেন, সেই সংখ্যাটা বিবেচনায় নিচ্ছি।
তিনি বলেন, গতকাল রাত পর্যন্ত ২ হাজার ৯৫০ জন ব্যক্তি বিভিন্ন স্কিমে টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন নিয়েছেন। আজকের তথ্য এখনও আমরা নেইনি। অনেকেই আগ্রহ নিয়ে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করছেন। যেহেতু আমরা নিশ্চিত নই তারা স্কিম গ্রহণ করবেন কি না, তাই ওই সংখ্যাটা ধরছি না।
এর আগে, উদ্বোধনের দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের জন্য কমপক্ষে ৬ হাজার ১০০ জন সাইন আপ করেছিলেন। যাদের ৪৬৩ জন তাদের প্রথম কিস্তির টাকা জমাও দিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা অনুযায়ী, এ কর্মসূচিতে যুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন গ্রাহক। চাঁদা পরিশোধের পর তিনি মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন ১৫ বছর।
সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আপাতত চার ধরনের স্কিম চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রবাসীদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি স্কিম, অনানুষ্ঠানিক খাত অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম আর নিম্নআয়ের মানুষের জন্য রয়েছে সমতা স্কিম।