মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হঠাৎ করেই খবর ভাইরাল হয়, বাংলাদেশ দলের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক মারা গেছেন। তবে এ সংবাদটি মিথ্যা। এখনো বেঁচে আছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক এ অধিনায়ক।
অনেকদিন ধরেই ক্যান্সারে ভুগছেন ৪৯ বছর বয়সী স্ট্রিক। তাই তার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এর আগে স্ট্রিকের সতীর্থ হেনরি ওলঙ্গা সামাজিক মাধ্যম টুইটারে লেখেন, দুঃখের সংবাদ এসেছে যে হিথ স্ট্রিক পরপাড়ে চলে গেছে। শান্তিতে থেকো কিংবদন্তি। আমাদের দেশের সেরা অলরাউন্ডার। তোমার সঙ্গে খেলাটা ছিল আনন্দের। যখন আমার বোলিং স্পেল শেষ হয়ে যাবে, তখন পরপাড়ে তোমার সঙ্গে দেখা হবে।
তবে পরবর্তীতে ওলঙ্গা নিজের নিশ্চিত করেছেন, স্ট্রিক মারা যাননি। স্ট্রিকের দেওয়া একটি বার্তার স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন তিনি। যেখানে বাংলাদেশ দলের সাবেক বোলিং কোচ তাকে লিখেছেন, আমি বেঁচে আছি। এখনি আমার মৃত্যুর গুজব বন্ধ করো বন্ধু।
২০০০-২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ছিলেন দেশটির ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। জাতীয় দলের হয়ে ৬৫টি টেস্টের সঙ্গে ১৮৯টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ উইকেট নেওয়া জিম্বাবুয়ের একমাত্র বোলার স্ট্রিক। প্রায় এক যুগের ক্যারিয়ারে অনেকটা একা হাতেই টেনেছেন দলকে।
বোলিংয়ের জন্য খ্যাতি থাকলেও ব্যাট হাতেও দারুণ অবদান রেখেছেন স্ট্রিক। টেস্টে ১৯৯০ ও ওয়ানডেতে করেছেন ২৯৪৩ রান। সাদা পোশাকে তার প্রথম ও একমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরিতে হারারেতে এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক হওয়ার পর রাউয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয়টিতে আট উইকেট নিয়ে নিজের আগমন জানান দিয়েছিলেন স্ট্রিক।
২০০৫ সালে কাউন্টিতে ওয়ার্কশায়ারের অধিনায়ক হিসেবে দুই বছরের চুক্তি করেন তিনি। যদিও পরে সেটি ব্যক্তিগত কারণে সংক্ষিপ্ত হয়ে আসে। পরে ২০০৭ সালে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ (আইএসএলে) নাম লেখানোর পর তার ক্যারিয়ারের কার্যত ইতি ঘটে।
জিম্বাবুয়ে, স্কটল্যান্ড, গুজরাট টাইটান্স ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের মতো দলগুলোতে কাজ করেছেন হিথ স্ট্রিক। ২০১৪ সালের মে মাসে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
২০২১ সালে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে আইসিসি তাকে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। ওই অভিযোগের ভার মাথায় নিয়েই চলে গেলেন জিম্বাবুয়াইয়ান কিংবদন্তি।