আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রক্ত ঝরিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। অথচ কিছু দেশ তাদের সুবিধার জন্য এদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে তারা বাংলাদেশে এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যে সরকার তাদের চাটুকার হবে।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে (বিআইসিসি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালুর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় ভোট চোররা ক্ষমতায় থাকায় সেটা করেনি। পরে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসার পর আইন প্রণয়ন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন করেছে।
তিনি আরো বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান প্রথমে হ্যাঁ/না ভোট এবং পরে রাষ্ট্রপতির ভোটের মাধ্যমে ভোট কারচুপির সংস্কৃতি চালু করেন। তিনিই জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেন। পরবর্তীতে খালেদা জিয়াও তার দেখানো পথই অনুসরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান নিজেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তিনিই খুনিদের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন এবং তাদের বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে পোস্টিং দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ ও নূরকে আশ্রয় দিয়েছে এবং বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছে না। আর এই দেশগুলোই এখন জাতির পিতার খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। খুনি ডালিম ও রশিদ পাকিস্তান ও লিবিয়ার মধ্যে তাদের আস্তানা পরিবর্তন করে চলছে। বাকি খুনিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। খুনিদের বিচারে আওয়ামী লীগের পাশে থাকার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কেএ ম বজলুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম মাজহার আনাম, পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মেহেরুন্নেছা মেরি, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন প্রমুখ।