মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রালারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ নিখোঁজ শিশু জান্নাতুল সাবিহার (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন চারজন।
রোববার (৮ অক্টোবর) চাঁদপুরের ষাটনরের কাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এরআগে শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের চর কিশোরগঞ্জের কাছে মেঘনার ৩০০ মিটার দূরের রমজানবেগের কাছে ভাসমান অবস্থায় জান্নাতুলের মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জান্নাতুল উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের মফিজুল হক ও সুমনা আক্তার দম্পতির মেয়ে।
এখনো নিখোঁজ রয়েছে- সুমনার এক মেয়ে সাফা আক্তার (৪), মফিজুলের ভাতিজি মারওয়া (৮), সুমনার ভাই সাব্বির হোসাইন (৪০) ও সাব্বিরের ছেলে রিমাদ (২)
এর আগে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সীমান্তবর্তী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের চর কিশোরগঞ্জের কাছে মেঘনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকালে মেঘনার দুর্ঘটনাস্থলের ৩০০ মিটার দূরের রমজানবেগের কাছে সুমনা আক্তারের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোববার সুমনার এক মেয়ে জান্নাতুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার আরেক শিশু কন্যাসহ অপর নিখোঁজদের সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজদের সন্ধানে বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ারসার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখনো দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি শনাক্ত এবং বাল্কহেড আটক করা যায়নি।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোস্তফা মোহসীন মেঘনার তলদেশে যাওয়া ডুবুরিদের বরাত দিয়ে বলেন, ‘বালু কাটার কারণে নদীর তলদেশের গভীরতা ৭০ ফুট থেকে ১২০ ফুট পর্যন্ত। তাই উদ্ধার অভিযান চালাতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ১১ যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের সন্ধানে দুর্ঘটনাস্থল থেকে চারিদিকের ৭ কিলোমিটার জুড়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন ডুবুরিরা। এখনো নিখোঁজ রয়েছে চারজন। এরমধ্যে তিনজনই শিশু।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যার পর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার সীমান্তবর্তী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের চর কিশোরগঞ্জের কাছে মেঘনায় বালুবাহী একটি নৌযানের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে একইপরিবারের ছয়জন নিখোঁজ হন।