নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দেশের জনগণের জন্য এক আশীর্বাদ। তিনিই বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বই দিয়ে থাওকন। প্রবৃদ্ধি বজায় রেখে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। শিশুমৃত্যুর হার কমানো, নারী শিক্ষায় অগ্রগতি ও নারীর অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিরআওতায় নানা ধরনের ভাতা প্রদানের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন, সর্বজনীন পেনশন স্কীম চালু করেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, সমুদ্রসীমা বিজয়, দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, জিডিপির ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি, বিনিয়োগবান্ধবপরিবেশ বজায় রেখে অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ ইত্যাদি অভূতপূর্ব সাফল্যের বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকেউন্নয়ন বিস্ময়। এসকল কিছু শেখ হাসিনারই অর্জন, দেশের মাটি ও মানুষের অর্জন।
শনিবার রাজধানীর কাওলা সিভিল এভিয়েশন মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খসরু চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সোনার বাংলা’ রূপকল্প গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্তস্বাধীন জীবনের স্বপ্ন দেখার সাহস জুগিয়েছিলেন এই জাতিকে। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে ‘সোনার বাংলা’ রূপকল্পের সফল বাস্তবায়ন ঘটছে। ভিশন ২০৪১, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান ও ডেল্টাপ্লান ২১০০ প্রণয়নের মাধ্যমে উন্নত, সমৃদ্ধ, টেকসই, স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে নিরলস কাজ করছেন তিনি। তাই বলছি বারবার দরকার শেখ হাসিনার সরকার। এই দেশে শেখ হাসিনার সরকারের বিকল্প নাই। তিনি ক্ষমতায় আছেন এবং আবারও আসবেন।
এদিকে, জনসভায় ৩০ হাজারের অধিক নেতা-কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে উপস্থিত থেকে চমক দেখিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি। কাওলা সিভিল এভিয়েশন মাঠে বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত থাকলেও ব্যতিক্রমী ছিলেন মো. খসরু চৌধুরী সিআইপির অনুসারীরা। লাল রঙের টিশার্ট পরে হাজার হাজার নেতা-কর্মী রাস্তায় নামলে ভিন্নরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সকলে নেচে-গেয়ে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন গোটা এলাকা। লাল রঙের টিশার্ট পরে খসরু চৌধুরীর অনুসারীদের উপস্থিতিতে পুরো জনসভাস্থল যেন লালে লাল হয়ে যায়।
জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের জনপ্রিয় নেতা খসরু চৌধুরী। জনসভাস্থলে যাবার পথে খসরু চৌধুরী নিজেই প্রধানমন্ত্রীর নামে স্লোগান দেন। তাতে দলের নেতা-কর্মীরা সেই স্লোগানের জবাব দেন।
পরে খসরু চৌধুরী তার অনুসারীদের নিয়ে জনসভাস্থলে গেলে হাজারো জনতা করতালী দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। লাল রঙের টিশার্ট পরে হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে সাথে নিয়ে বিশাল শো-ডাউন করে জনসভাস্থলে যাবার সময় উপস্থিত কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের নজর কাড়েন খসরু চৌধুরী।
ঢাকা-১৮ আসনে আগামী দিনের আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি হিসেবে খসরু চৌধুরী সিআইপিই যোগ্য প্রার্থী তারই প্রমাণ মেলে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় হাজারো মানুষ নিয়ে উপস্থিতির মধ্য দিয়ে, এমনটিই বলছেন স্থানীয় সকল শ্রেণিপেশার মানুষ।