আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে টি-২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে এবাদত হোসেন। যত দ্রুত সম্ভব সম্পূর্ণ ফিট এবং আগের তুলনায় আরো শক্তিশালী হয়ে বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এই পেসার।
গত জুলাইয়ে লন্ডনে হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকার কারণে মাঠের বাইরে আছেন এবাদত হোসেন। এ কারণে বাংলাদেশের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচের পাশাপাশি আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপও মিস করেছেন ডানহাতি পেসার।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিকেল বিভাগ ইঙ্গিত দিয়েছিল, জুনে টি-২০ বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না এবাদত। তবে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে ফিরতে পারবো বলে আশা করছি। এ ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
এবাদত আরো বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব ক্রিকেটে ফেরার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে মেডিকেল বিভাগ সবধরনের সাপোর্ট দিচ্ছে।পুনর্বাসন বেশ ভালো হচ্ছে। আমি মনে করি, দ্রুতই শক্তি ফিরে পাচ্ছি। আমি বালির মাঠে দৌড়াচ্ছি এবং শক্তি বাড়াতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। আশা করি, ভালো কিছু পাবো।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রস্তুতি নিয়ে যখন সতীর্থরা ব্যস্ত, তখন এবাদতকে ইনজুরি থেকে সুস্থ হতে লড়াই করতে হচ্ছে। একজন খেলোয়াড়ের জন্য যা খুবই হতাশাজনক। কিন্তু তাড়াহুড়া করে মাঠে ফিরতে রাজি নন তিনি। পুরোপুরি ফিট হয়েই ক্রিকেটে ফিরতে চান নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের নায়ক।
এবাদত বলেন, ‘আমি তাড়াহুড়ো করছি না। যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি, সেটি আমার জন্য ভালো কাজ করছে। গতকাল দুই পায়ের ও পেশির মাপ নেয়া হয়েছে। সব ঠিক আছে। খুব ভালো রিকভার করছে। মনে হচ্ছে, কঠোর পরিশ্রমের ফল খুব ভালোভাবেই পাচ্ছি।’
টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ফেরার আকাঙ্ক্ষা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যরা বোলিং করছে এবং ম্যাচ খেলছে। এটা দেখা একজন খেলোয়াড়ের জন্য সবসময় কঠিন। যখন আমি সতীর্থদের খেলতে দেখেছি, তখন আমার খেলতে ইচ্ছা করেছে। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ফিট করতে নিজে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’