বিপিএলের দশম আসরের চতুর্থ ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে চার উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করেছে খুলনা টাইগার্স।
শনিবার টস জিতে চট্ট্রগ্রামকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় এনামুল হক বিজয়ের দল। ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১২১ রানে অলআউট হয় তারা। জবাব দিতে নেমে ৯ বল এবং ৪ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা টাইগার্স।
জবাবে দিতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন খুলনার দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় এবং ইভেন লুইস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউই। ৬ বলে ১২ রান করে লুইস আউট হলে, ৮ বলে ৯ রান করে তাকে সঙ্গ দেন বিজয়। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার শাই হোপ। ১১ বলে ৯ রান করেন তিনি।
তবে মাহমুদুল হাসান জয়কে সঙ্গে নিয়ে খুলনা শিবিরে হাল ধরেন আফিফ হোসেন। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ে পথে এগিয়ে জেতে থাকে খুলনা। ২৬ বলে ২৮ রান করে আফিফ আউট হলে, ৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন হাবিবুর রহমান সোহান।
তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে দলকে জয়ে পথে এগিয়ে নেন জয়। ৪৪ বলে ৩৯ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে জয় আউট হলে, ফাহিম আশরাফের অপরাজিত ১৫ রানে ভর করে ৯ বল এবং চার উইকেট হাতে থাকতে জয়ে বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা টাইগার্স।
চট্টগ্রামের হয়ে আল আমিন হোসেন ও শহিদুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও বিলাল খান ও নাহিদুজ্জামান একটি তরে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি চট্টগ্রাম। ৯ বলে ৮ রান করে নাহিদুল ইসলামের বলে আউট হন আভিষ্কা ফার্নান্দো। পরের বলেই ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন ইমরানুজ্জামান।
এরপর চ্যালেঞ্জার্স শিবিরের হাল ধরার চেষ্টা করেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তবে মাত্র ১৯ রান করেই আউট হন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছাড়াতে পারেননি আগের ম্যাচে জয়ের অন্যতম নায়ক শাহাদাত হাসান দিপুও। ১০ বলে ৬ রান করে স্পিনার নাসুমের বলে বোল্ড হন তিনি।
অধিনায়ক শুভাগত হোম ২ রানে আউট, অপর প্রান্ত থেকে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। তবে এই আফগান ব্যাটারও পিচে বেশি সময় থাকতে পারেনি। ২২ বলে ২৪ রান করে নাহিদুলের তৃতীয় শিকার হন জাদরান।
এরপর শুরু হয় চট্টগ্রামের উইকেট মিছিল। কার্টিস ক্যাম্ফার (৭), নাহিদুজ্জামান (৯) এবং বিলাল খান আউট হন এক রানে। ২০তম ওভারে শেষ বলে শহিদুল ইসলাম আউট হলে ১২১ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৩১ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে স্কোর বোর্ডে লড়াকু পুঁজি যোগ করেন শহিদুল।