ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০তেও জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। এই জয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটের স্বস্তির জয় পেয়েছে টিম টাইগার্স।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটস দাস। লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন তারা দুজন।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে এন্দলোভুর বলে দুর্দান্ত ক্যাচে তামিমকে তালুবন্দী করেন বেনেট। সাজঘরে ফেরার আগে ১৮ রান করেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।
পরে উইকেটে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। তার বিদায়ের পর আউট হন লিটনও। ২৫ বলে ২৩ করেন এ টাইগার ওপেনার।
ব্যাট হাতে ভালো শুরু করেও ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন জাকের আলী। শেষ মুহূর্তে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে রিয়াদ ২২ ও হৃদয় ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন লুক জঙ্গি।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ব্যাট হাতে চার ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
আশা দেখালেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি জয়লর্ড গাম্বি (১৭) ও ক্রেগ আরভিন (১৩)। তবে সেই ধাক্কা সামলে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন ক্যাম্পবেল ও বেনেট। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান।
ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ক্যাম্পবেল (৪৫) সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যায় তাদের এ জুটি। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো পুঁজি এনে দেন বেনেট। ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান ও শরিফুল।