শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::

দেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রজেক্ট .

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
  • ৩২ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) প্রাণিসম্পদ খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি, জলবায়ু সহিষ্ণুতার প্রচার এবং টেকসই উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশে নতুন ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রজেক্ট চালু করছে। আজ শ‌নিবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

ফুড ফর প্রোগ্রেস প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইউএসডিএ পাঁচ বছরে এই প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। টেকসই ফলাফল অর্জনের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করবে তারা।

সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে গবাদি পশুর উৎপাদন বৃদ্ধি, বাজারে সুযোগ, এবং নির্ধারিত ১৬টি জেলায় জলবায়ু-স্মার্ট পদ্ধতির বাস্তবায়ন করবে। এর মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি গবাদি পশু চাষি উপকৃত হবেন। প্রকল্পটির লক্ষ্য পাঁচ বছরে গবাদি পশুর বিক্রয় ৯৪০ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি করা।

মার্কিন দূতাবাস জানায়, ফুড ফর প্রোগ্রেস প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইউএসডিএ পাঁচ বছরে এই প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে এবং টেকসই ফলাফল অর্জনের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি।জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং প্রভাবকে প্রশমিত করতে বাংলাদেশকে জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি পদ্ধতি বাস্তবায়নে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উদ্ভাবনী এই প্রকল্পটি উল্লেখযোগ্যভাবে গবাদি পশুর উৎপাদন বৃদ্ধি করবে, বাজারে সুযোগ বাড়াবে এবং নির্ধারিত ১৬টি জেলায় জলবায়ু-স্মার্ট পদ্ধতির বাস্তবায়ন করবে। এর মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত ২৫০,০০০-এরও বেশি গবাদি পশু খামারি উপকৃত হবেন। প্রকল্পটি বাংলাদেশের জাতীয় জলবায়ু লক্ষ্যের সঙ্গে মিল রেখে উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তির প্রবর্তন, প্রাণী স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাস করবে।

উৎপাদনকারীদের সর্বশেষ ক্রেতার সঙ্গে সংযোগ করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে এবং বিনিয়োগের মূলধনে প্রবেশাধিকার বাড়িয়ে, প্রকল্পটির লক্ষ্য পাঁচ বছরে গবাদি পশুর বিক্রয় ৯৪০ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি করা।

ইউএসডিএর এগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে সারাহ গিলেস্কি বলেন, ‘উদ্ভাবনী এই প্রকল্পটি চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। প্রকল্পটি একই সঙ্গে ক্ষুদ্র পরিসরে যারা গবাদি পশু উৎপাদন করেন তাদের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জীবিকা উন্নত করতে সহায়তা করবে, পাশাপাশি মিথেন নির্গমনও হ্রাস করবে। এটা আমাদের দেখাবে যে জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন এবং প্রশমন করার বিনিময়ে কৃষি উৎপাদন কমবে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com