বিনোদন প্রতিবেদকঃ দেশের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড শিরোনামহীন। তাদের গান মানেই দর্শকের জন্য বাড়তি উন্মাদনা। অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে শ্রোতা ও দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। এবার ব্যান্ডটি অভিযোগ এনেছে জি-সিরিজ মিউজিক লেবেল কোম্পানির বিরুদ্ধে।
দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর শিরোনামহীনের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘জি-সিরিজ নামে মিউজিক লেবেল প্রতিষ্ঠান, শিরোনামহীন ব্যান্ডের নিজস্ব ও কপিরাইটকৃত-বন্ধ জানালা, হাসিমুখ, জাহাজি, পাখি, ইচ্ছেঘুড়ি, ভালোবাসা মেঘ ও ক্যাফেটেরিয়া ইত্যাদি গান বিদেশি কিছু কম্পানির কাছে বিক্রি করে অবৈধভাবে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
যেসব অর্থের বিপরীতে সরকারকে কোনো ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদান করছে না। জি-সিরিজের এ রকম বে-আইনি ও দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে গানগুলোর প্রকৃত স্রষ্টা ও মালিক শিরোনামহীন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং বাংলাদেশের সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয় শিরোনামহীন ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘আইন অনুযায়ী যেকোনো শিল্পের কপিরাইট থাকে তার স্রষ্টার। সে হিসেবে ব্যান্ডের গানের সব মালিকানা শিরোনামহীন আগেই কপিরাইট নিয়ে রেখেছে ২০১৭ সালে।
জি-সিরিজ থেকে আমাদের অ্যালবামগুলো চুক্তি অনুযায়ী ডিস্ট্রিবিউশন হয়েছিল এবং আইন আনুযায়ী তার সময়সীমাও অতিবাহিত হয় ঘোষণার মাধ্যমে। এরপর কপিরাইট অফিস থেকে জি-সিরিজের কপিরাইট বাতিল করা হয়। গানগুলোর কপিরাইট আমাদের দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফরম ইউটিউব চ্যানেলে গানগুলো প্রকাশের চেষ্টা করি।
কিন্তু গানগুলোতে তারা কপিরাইট এবং গ্লোবালি ব্লক করে রাখে। এরপর তারা আমাদের বেশ কিছু গানে কপিরাইট দিয়ে আমাদের চ্যানেল ভ্যানিশ করে দেওয়ার চেষ্টা করে, যা আমাদের ব্যান্ড সংগীতের জন্য হুমকি বলে মনে করি। তারা এতটাই প্রভাবশালী, কপিরাইট অফিসের সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করেই গানগুলো থেকে নিজেদের মতো করে মুনাফা লুটছে।
এ সময় জিয়া আরো বলেন, কপিরাইট অফিস থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না বলেই আর্টিস্টদের এসব ভোগান্তি, দুর্নীতির শিকার হতে হয়। কপিরাইট সার্টিফিকেট, রায় থাকার পরেও মেনে না নিয়ে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও যদি শাস্তি না হয়, তাহলে এসব দুর্নীতিগ্রস্ত কম্পানিকে কিভাবে মোকাবেলা করা যাবে? সুবিচার কিভাবে পাবে আর্টিস্টরা?
বর্তমানে শিরোনামহীন ব্যান্ডের লাইনআপে আছেন জিয়াউর রহমান জিয়া (বেজিস্ট ও গীতিকার), কাজী আহমাদ শাফিন (ড্রামার), শেখ ইশতিয়াক (ভোকালিস্ট), সাইমন চৌধুরী (কি-বোর্ডিস্ট) ও দীপু সিনহা (গিটারিস্ট)।