সিটিজেন প্রতিবেদকঃকোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে আজ মঙ্গলবার দেশব্যাপী শোক পালন করা হবে। শোক পালনের অংশ হিসেবে কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। মসজিদে দোয়া এবং মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় প্রার্থনা করা হবে।
সোমবার (২৯ জুলাই) মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শোক পালনের অংশ হিসেবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে অফিস করছেন। এছাড়া মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা হচ্ছে।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ৩০ জুলাই সারাদেশে শোক পালন করা হবে।
শোক পালনের অংশ হিসেবে কালো ব্যাজ ধারণ করতে হবে এবং নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ সব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের দেওয়া সহিংসতায় ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যুর তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ছিল ১৪৭ জন। আজ (সোমবার) আরও বোধহয় তিনজন যোগ হয়েছে। তিনি ১৫০ জন নিহত হওয়ার কথা বলেছেন।
তবে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।