গতকাল রাত ১২টার পর থেকে উত্তরা এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতির খরব ছড়িয়ে পড়লে পাড়া মহল্লার মাসজিদে মসজিদে মাইকিং করে স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়। এসময় উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরসহ তুরাগ,দলিপাড়া,বাউনিয়া,
খালপাড় হরিরামপুর, উত্তরখান মাজার চৌরাস্তা, কাঁচকুড়া,চানপাড়া, দক্ষিণখান আসকোনা,গাওয়াইর,
খিলখেত ও নিকুঞ্জ এলাকায় ডাকাত ডোকার খবর পাওয়া যায়। গতকাল সারারাত এখানকার সাধারণ মানুষ ডাকাত আতংকে নির্ঘুমে রাত কাটায়।
জানা যায়, এলাকার পাড়া মহল্লার মসজিদে মসজিদে ডাকাত ডুকার ঘটনা মাইকিং করা হলে স্থানীয় বাড়ীর মালিকগণ পরিবারের লোকজন নিয়ে দলবেঁধে লাঠি সোঁটা, বাঁশকাঠ নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। উত্তরখান মাজার চৌরাস্তা এলাকার বাড়ির মালিক গ্যাস উদ্দীনের ছেলে রায়হান বলেন রাত ১ টার সময় তাদের টিন শেড বাড়িতে মুখে গামছা বেঁধে ৮/১০ জন ডাকাত ঘরে ডুকে ভাড়াটিয়াদের মারধরসহ টাকা পয়সা লুটপাট করে। তারা ভাড়াটিয়াদের জিনিস পত্র বাইরে ফেলে দেয় এবং বাড়ী ছেড়ে বের হয়ে চলে যেতে বলে। এসময় এলাকার ছত্র-জনতা এক হয়ে বাঁশি বাজিয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া করলে তারা মালামাল রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাড়ির মালিকগণ জানান ডাকাত দল মুখে গামছা বেঁধে দেশীয় অস্রহাতে দলবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন বাড়িতে লুটপাটের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এঘটনায় কয়েক জন উত্তরার খালপাড় এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়। আটককৃতরা তাদেরকে ছিনতাইকারী বলে স্বীকার করেন। অনেকে আবার আওয়ামী যুবলীগ ও যুবদলের ক্যাডার বলেও জানান যায়। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, হাসিনার দেশত্যাগের পর থানায় থানায় পুলিশের উপর হামলার পর পুলিশ প্রশাসন কর্মবিরতিতে চলে যায়। এ সুযোগে দূর্বৃত্তরা লুটপাট ও সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘর দখলের পায়তার শুরু করেন।রাত বাড়ার সাথে সাথে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে উত্তরার বিভিন্ন বড় বড় দোকানপাট ও এলাকার নিরীহ মানুষের বাসা বাড়িতে হামলা চালায়।গত কয়েক দিন যাবত গণমাধ্যম কর্মীদের উপর গুপ্ত হামলা, চুরি ডাকাতি,লুটপাট ও দখল আতংক সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।