সিটিজেন প্রতিবেদকঃদেশ পুনর্গঠনে পোশাক প্রস্তুতকারকদের সহযোগিতা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) নেতাদের উদ্দেশে মঙ্গলবার অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে গেছে। আমরা একটা বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়েছি। তারা আমাদের অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে গেছে। কিন্তু সবার সহযোগিতায় আমরা দেশকে পুনর্গঠন করতে পারব।’
বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বিজিএমইএ সহ-সভাপতি ও পরিচালকসহ পোশাক শিল্পোদ্যোক্তাদের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
নিউইয়র্ক দিয়ে প্রথম বিদেশ সফর শুরু করতে পারেন ড. ইউনূস
ড. ইউনূসের কারণে বিদেশি বায়ারদের আস্থা ফিরেছে : বিজিএমইএ
বিজ্ঞাপন
২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী বলেন, দেশ ব্যর্থ হতে পারে না। হলে এর প্রভাব হবে বিপর্যয়কর। জাতির অস্তিত্বই সংকটের সম্মুখীন হতে পারে।
তিনি পোশাক প্রস্তুতকারকদের তাদের ব্যবসাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে আপনারা ব্যবসাকে রাজনীতির সঙ্গে মেশাবেন না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের নৃশংস স্বৈরাচারের পতন ঘটানো ছাত্র বিপ্লব ‘মানব ইতিহাসে নজিরবিহীন’। ‘তারা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে। তারা যখন আমাকে ফোন করে দেশের নেতৃত্ব হাতে নেওয়ার অনুরোধ করে তখন আমি বিদেশে ছিলাম।
বিজিএমইএ নেতারা বলেন, জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমরা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বকে পূর্ণ সমর্থন করি। আমরা এ খাতের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানাই। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তা কামনা করছি।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘আমরা প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করব। বাংলাদেশের জনগণের অসীম প্রতিভা রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আমরা চাই এটি আরও প্রসার লাভ করুক।