সিদ্ধেশ্বরী আনারকলি সুপার মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন খোরশেদ আলম রাসু। তিনি একজন আয়কর দাতা ও প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার।এছাড়া তিনি একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী ছিলেন।
তবে কতিপয় স্বার্থন্বেশী ঠিকাদার ব্যবসায়ী সহ একটি কুচক্রি মহল ও অসৎ দুর্নীতিবাজ পুলিশ প্রশাসন এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিহিংসা-পরায়ন হয়ে খোরশেদ আলম রাসুকে ফ্রীডম রাসু তকমা লাগিয়েছে।
এই চক্র তাকে ব্যবসায়ীক এবং সামাজিক ও পারিবারিকভাবে নিঃশেষ করার অশুভ পায়তারা চালালে খোরশেদ আলম রাসু নিজের নিরাপত্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেফ করার স্বার্থে আইন শৃংখলা বাহিনীর (ডিবির) কাছে গিয়ে নিজেকে সপর্দ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য যে পুলিশ ডিবি তাকে ৫৪ ধারায় চালান দিলেও এক পর্যায়ে অদৃশ্য কিছু কালো হাতের ইশারায় এক টার পর একটা মিথ্যা সাজানো মামলা দিতে থাকে। তবে প্রত্যকটা মিথ্যা মামলায় সৎ সাহসী ব্যবসায়ী নেতা খোরশেদ আলম রাসু সকল মিথ্য অভিযোগ থেকে অব্যহতি পায়।
সর্বশেষ গত আওয়ামী লীগ সরকারের ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম রাসু গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হওয়া মাত্র গেট থেকে ডিবি হারুনের নির্দেশে ব্যবসায়ী রাসুকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে এবং পাঁচ দিন ডিবি হেফাজতে রেখে সাবেক ডিবি প্রধান হারুন বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে হারুন মোটা অংকের চাঁদা ৫০ লক্ষ টাকা দাবী করে। সাবেক ডিবি প্রধান হারুন তার চাহিদা টাকা মোতাবেক টাকা পয়সা না পাওয়ায় ডিবি হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে খোরশেদ আলম রাসুকে তাদের জিম্মায় রেখেই ডিবি হারুনের নির্দেশে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে খোরশেদ আলম রাসুকে মিথ্য অস্ত্র মামলা সাজিয়ে জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়।
ব্যবসায়ী নেতা খোরশেদ আলম রাসুর বিরুদ্ধে দেশের কোথাও জিডি কিংবা কোনো মামলা না থাকায় মহামান্য আদালত কথিত অস্ত্র মামলায় জামিনে মুক্তিসহ সকল মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে তাঁকে কোনো ধরনের হয়রানি না করার নির্দেশ প্রদান করেন।
অন্যায় ভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে থাকায় ব্যবসা বাণিজ্যে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন খোরশেদ আলম রাসু। যিনি বয়সের ভারে শারীরিক ভাবে বেশ অসুস্থ। তার এখন চিকিৎসা এবং বিশ্রামের প্রয়োজন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে খোরশেদ আলম রাসুর নাম উল্লেখ করে তার নামের সাথে ফ্রীডম রাসু এবং ১১ মামলাসহ পুলিশ হত্যা মামলার আসামি উল্লেখ করা হয়েছে যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যার কোন অস্তিত্ব নেই।
এ বিষয়ে সিদ্বেশ্বরী মৌচাকের আনারকলি মাকের্ট মালিক সমিতি, লিলি প্লাজার মাকের্ট মালিক সমিতি এবং শাহাজাদপুর প্রিমিয়ার শপিংমল মালিক সমিটি সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমাজ এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করে বলেছেন, খোরশেদ আলম রাসু একজন দেশ প্রেমিক ও ব্যবসা বান্ধব মানুষ হিসেবে অন্যদের বিরুদ্ধে সর্বদা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করায় তাকে জেল জুলুম এবং ষড়যন্ত্রের শিকার বার বার হতে হয়েছে। আমরা এর তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে তাদের দাবী ব্যবসায়ী রাসু যেন ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত না হন। রাসুর ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তায় আইনী সহায়তা প্রত্যাশা করেছেন ব্যবসায়ী সমাজ।