ক্রীড়া ডেস্কঃ কানপুরের উইকেট সাধারণত হয় ধীরগতির। পিচ হয় স্পিন সহায়ক। চতুর্থ দিনে পিচ সাধারণত ভাঙতে শুরু করে। কিন্তু প্রথম দিন খেলার পর বৃষ্টিতে যখন দু দিন খেলা বন্ধ থাকে, তখন চতুর্থ দিনে উইকেট হয় বেশ চ্যালেঞ্জিং। মাঠ শুকিয়ে যাওয়ার পর উইকেটে স্পিনাররা দাপট দেখাতে শুরু করেন। এমন অবস্থায় ব্যাটসম্যানদের টিকে থাকাই কঠিন, সেঞ্চুরি করা তো পরের বিষয়। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে মুমিনুল হক ঠিকই আদায় করে নিয়েছেন সেঞ্চুরি।
ক্যারিয়ারে এটি তার ১৩তম সেঞ্চুরি। গ্রিন পার্ক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচে বল ধীরে আসে এবং সময়ের সাথে সাথে ভেঙে যেতে শুরু করে, যা স্পিনারদের পক্ষে কাজ করে। বৃষ্টি পরবর্তী উইকেটেও অসংখ্য জটিলতা দেখা যায়, যেখানে বল অনিয়মিত বাউন্স করে এবং কিছু ক্ষেত্রে নিচু হয়ে আসে। মুমিনুল এমনই একটি উইকেটে সেঞ্চুরি করেন, যেখানে ব্যাটিং করা কঠিন হলেও তার ধৈর্য ও মনোযোগ তাকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নেয়।
মুমিনুলের এই সেঞ্চুরির বিশেষত্ব শুধুমাত্র কঠিন উইকেটে নয়, বরং তার ১৪ ইনিংস দীর্ঘ খরা কাটানোর মধ্যেও রয়েছে। তার ফর্মের এই দীর্ঘ সময়ের খারাপ পারফর্মেন্স এবং দলের জন্য অবদান রাখতে না পারার চাপ মুমিনুলকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করেছিল। কিন্তু কানপুরের এই সেঞ্চুরি শুধু তার ফর্মের পুনরুদ্ধার নয়, বরং তার ব্যাটিং মনোযোগের এক উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাকি ব্যাটসম্যানরা আসা–যাওয়ার মধ্যে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুমিনুল হক। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে সুইপে চার মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যা। টেস্ট ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয়বার দেশের বাইরে সেঞ্চুরি করলেন মুমিনুল। প্রথমটি করেছিলেন ২০২১ সালের এপ্রিলে, শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে।
তিনি যে ওভারে অশ্বিনকে চার মেরে তিন অংকের রান ছুঁলেন সেটি ছিল প্রথম সেশনের শেষ ওভার। সোয়া দুই ঘণ্টা স্থায়ী এই সেশনে খেলা হয়েছে ৩১ ওভার। তাতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান যোগ করেছে বাংলাদেশ। ৬৬ ওভারে ২০৫ রান সংগ্রহ করেছে ৬ উইকেট হারিয়ে।