আন্তর্জাতিক ডেস্কঃউপস্থিত জনতার উদ্দেশে খামেনি বলেন, ‘আমাদের শত্রু বিভাজন ও রাষ্ট্রদ্রোহের বীজ বপন করার কৌশল হাতে নিয়েছে। তারা চায় মুসলমানরা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ুক। কিন্তু তারা ফিলিস্তিনি, লেবানিজ, মিসরীয় ও ইরাকি—সবারই শত্রু তারা। তারা ইয়েমেন ও সিরিয়ার মানুষেরও শত্রু।
আজ প্রায় পাঁচ বছর পর জুমার নামাজে ইমামতি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। খুতবায় রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য।
তেহরানে খামেনিকে এক পলক দেখার জন্য ও তার বক্তব্য শোনার জন্য হাজারো মানুষ জমায়েত হয়। প্রায় পাঁচ বছর পর জুমার নামাজে খুতবা দেন তিনি।আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এর আগে ২০২০ সালে তিনি জুমার নামাজে খুতবা দিয়েছেন। সে সময় মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। হত্যার কিছুদিন আগে থেকেই সোলেইমানির গতিবিধি অনুসরণ করা হচ্ছিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হিটলিস্টে ছিলেন।
ইসরায়েলে ইরানের হামলার একদিন পর তেহরানে বিশাল জনসমাবেশে জুমার নামাজে খুতবা দিলেন খামেনি। এ সময় এই শীর্ষ নেতাকে এক পলক দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ তেহরানে জড়ো হন। সে সময় প্রধান মঞ্চে হিজবুল্লাহর প্রয়াত নেতা হাসান নাসরাল্লাহ এবং খামেনির একটি ছবি পাশাপাশি রাখা হয়।
এছাড়া অনেকের হাতেই সে সময় হিজবুল্লাহর সবুজ ও হলুদ পতাকা ছিল আবার কারও হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বলেছেন, প্রতিটি দেশেরই তাদের আগ্রাসীদের হাত থেকে আত্মরক্ষা করার অধিকার রয়েছে।
তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলোকে আফগানিস্তান থেকে ইয়েমেন, ইরান থেকে গাজা ও লেবানন পর্যন্ত অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। খামেনি বলেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা এবং ইসরায়েলের ওপর ইরানের সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বৈধ ছিল।
তিনি বলেন, আমাদের শত্রুদের নীতি হলো বিভাজন এবং রাষ্ট্রদ্রোহের বীজ বপন করা এবং মুসলিমদের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করা। তারা ফিলিস্তিনি, লেবানিজ, মিশরীয় এবং ইরাকিদের শত্রু। তারা ইয়েমেন এবং সিরিয়ার জনগণের শত্রু। আমাদের সবার শত্রু এক।