নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জেতা বাংলাদেশ ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
মেয়েদের বেতন ও অন্যান্য পাওনা নিয়ে এই সমস্যার সমাধান দ্রুতই সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম। মেয়েদের বেতনের এই সমস্যাকে ‘কাজী সালাউদ্দিনের আমলের সমস্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
গত কদিনে বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের বেতন না পাওয়ার প্রসঙ্গ অনেকবারই উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। অথচ গত ২৬ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচনের সময়ে কাউন্সিলরদের নিয়ে বিলাসী এজিএমের আয়োজন করে বাফুফে। এজিএমে খরচ হয়েছে প্রায় আধা কোটি টাকা, ১৩৩ জন কাউন্সিলরকে ‘টি/এ’ হিসেবে দেওয়া হয়ে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা, কাউন্সিলর ও নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাদের জন্য রুম ভাড়ায় ব্যয় হচ্ছে ১১ লাখেরও বেশি। হিসেব করে দেখা গেছে আবাসন ও অ্যালাউন্স মিলিয়ে একজন কাউন্সিলরের পেছনে বাফুফের খরচ প্রায় ২০ হাজার টাকার উপর।
অথচ কাজী সালাউদ্দিনের সময়েই দুবছর আগে সাফ জেতার পর রীতিমতো আন্দোলন করে মাসিক বেতন বাড়িয়ে নেওয়া মেয়েরা এই মাসের বেতন তো পরের কথা, গত মাসের বেতনই এখনো পাননি। এ ছাড়া মে ও জুলাই মাসে চারটি ম্যাচের ম্যাচ ফি-ও এখনো পাওনা তাদের।
সালাউদ্দিনের আমলে মেয়েদের বেতন বাড়ানো হলেও স্পনসর সংকটে ফিফার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ফিফার বার্ষিক তহবিল থেকে মেয়েদের বেতন দেওয়া হতো বলে জানা যায়। যদিও বেতন দিতে দেরি হতো। কখনো মাসের শেষদিকে, এরপর এক মাসের বেতন গড়াল পরের মাসে। এখন তো দুই মাসের বেতন বকেয়াই পড়ে গেছে।
গতকাল টানা দ্বিতীয়বারের মতো সিনিয়র মেয়েদের সাফ জেতার পর মেয়েদের বেতন বকেয়া থাকার প্রসঙ্গ আবার সামনে আসে। এ নিয়ে আজ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম।
বেতন বকেয়া থাকার দায় বাফুফের সদ্যসাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সাফ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। বেশ কয়েকটি পত্রিকায় নারী ফুটবল দলের দুই মাসের বেতন বকেয়া থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। সেটি সালাউদ্দিনের আমলের সমস্যা। তাদের বেতনের সমস্যা দ্রুত সময়ে সমাধান করা হবে।