নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজনৈতিক অস্থিরতা, আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি, জুলাই সনদ ঘোষণাসহ PR পদ্ধতিতে নির্বাচন, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস অনুমোদন বাতিল এবং মুফতি রেজাউল করিম আবরারের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আজ ১৭ জুলাই ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি মুহাম্মাদ মাইনুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এইচএম জসিম উদ্দিন এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি জুলাই যোদ্ধাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, দেশব্যাপী খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির ফলে আওয়ামী দস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, দিনের আলোতেও মানুষকে পাথর মেরে হত্যা করা হচ্ছে, শুধুমাত্র চাঁদা না দেওয়ার অপরাধে। এটি জাতির জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারকে দ্রুত পুনর্বাসন এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে অবিলম্বে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করতে হবে এবং জনগণের প্রকৃত মতামত প্রতিফলনের জন্য আনুপাতিক হারে তথা PR (Proportional Representation) ভিত্তিক নির্বাচন দিতে হবে। সেই সাথে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের অনুমোদন বাতিল করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সদস্য ও জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ-আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার-এর নামে দায়ের করা মিথ্যা জঙ্গি হামলার মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। নতুন বাংলাদেশে আমরা আর কাউকে জঙ্গি তকমা দিয়ে হয়রানির সুযোগ দেব না। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, এ ঘটনায় জড়িতদের তদন্তসাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, যদি সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা এবং PR ভিত্তিক নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা উপস্থাপন না করা হয়, তাহলে আমরা সারাদেশে আরও কঠোর, ব্যাপক ও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবো।
সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর ১৮ জুলাইতে ‘জুলাই জাগরণ ও স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে এবং জুলাই যোদ্ধাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, দেশব্যাপী খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজদের বিচার, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের অনুমোদন বাতিল, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা প্রদান, দ্রুত ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা এবং PR পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন:
🔹 জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল
🔹 জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান
🔹 উন্মুক্ত স্থানে ১৮ জুলাই ২০২৪ প্রদত্ত বঙ্গঅভিভাবক পীর সাহেব চরমোনাই-এর ঐতিহাসিক বক্তৃতা প্রদর্শন
বিক্ষোভে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান হোসাইন নূর, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ,কেন্দ্রীয় অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মাইমুন ইসলাম মিঠুন, কেন্দ্রীয় কওমি মাদরাসা সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ মাহদী ইমাম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মুহাম্মাদ খাইরুল কবীর, কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আবদুল আজিজ নোমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য তুহিন মালিক, ইবরাহীম নাসরুল্লাহ, সাইফ মুহাম্মাদ আলাউদ্দিন, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য আবদুর রহমান, মাইদুল ইসলাম সিয়াম, আলিম আল আসিফ, ঢাকা মহানগর পশ্চিম এর সভাপতি সোহরাব হোসেন ফজলে, ঢাবি সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি আরিয়ান ইমন, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি আবু হানিফসহ মহানগর নেতৃবৃন্দ।