নিজস্ব প্রতিবেদক : ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বর্তমান কর্মকান্ডে দেশবাসী নতুন করে নকল ভেজাল ঔষধ মুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু কাইল্যা কামাল ওরফে ইয়াবা কামালচক্রের চাঁদাবাজী ও ওষুধ কোম্পানী মালিকদের হয়রানির কারণে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমানের গৃহীত সময়োপযোগী পদক্ষেপ বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
সম্প্রতি ঔষধ প্রশাসন নকল ভেজাল ও নিন্মমানের ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ভূমিকা রাখছে। যার ফলোশ্রুতিতে মডার্ণ হারবাল গ্রুপ, অনির্বাণ মেডিসিন্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ, ন্যাচার ফার্মাসিউটিক্যালসসহ প্রায় ৩০/৩৫টি ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানা করছে। দেশবাসী ওষুধ অধিদপ্তরের বর্তমান কর্মকান্ডকে ইতিবাচক দিক হিসেবে নিচ্ছে। মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান অধিদপ্তরের যোগ্য মেধাবী ও চৌকস কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গড়ে তুলেছেন নকল ভেজাল বিরোধী ষ্ট্রাইকিং ফোর্স। এসব ষ্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা রাজধানীসহ সারাদেশে নকল ভেজাল ঔষধের দুর্গে অভিযান অব্যাহত রেখেছ।
ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের একাধিক সূত্র জানায়, মহাপরিচালক ও ঔষধ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরিচালিত নকল ভেজাল বিরোধী এসব কর্মকান্ডের সুফল জনগণের কোন কাজে আসছেনা। শুধুমাত্র ইয়াবা কামালচক্রের অপকর্মের কারণে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান কামাল নামের এই লোক অযথা ঔষধ অধিদপ্তরে আমাদের রুমে এসে আমাদের দাপ্তরিক কাজে বাধাগ্রস্থ করে এবং মহাখালী এলাকায় স্থানীয় লোক বলে বিভিন্ন হম্বি-তম্বি করে এবং বলে তাকে অনৈতিক সুবিধা না দিলে সে আমাদের রাস্তা ঘাটে যেখানে পাবে সেখানে আটকে রেখে লাঞ্চিত করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
এসব অবৈধ কাজে কামালকে সহায়তা করে আসছে দর্শনার চুয়াডাঙ্গা এলাকার ওয়েস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর মালিক মো. গিয়াস উদ্দিন। উক্ত গিয়াস উদ্দিনের মালিকানাধীন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক বন্ধ করার কারণে ইয়াবা কামালের সাথে হাত মিলিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিপ্তরের দাপ্তরিক গোপন তথ্য বাইরে পাচার করছে। বর্তমানে ওয়েস্ট ফার্মসিউটিক্যালস (আয়ু) এর উৎপাদিত অবৈধ ওষুধ সমূহ রাজধানীসহ সারা দেশের ঔষধের দোকানের বিক্রি করছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অপর একটি সূত্রে জানায় দাপ্তরিক কজের সুবিধার জন্য ইয়াবা কামালকে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে কামাল ও ওয়েস্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিক গিয়াস উদ্দিন ওষুধ অধিদপ্তরে সংগৃহীত বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর শাস্তিমূলক গোপন নথি সংক্রান্ত তথ্য পাচার করে আসছে।