আন্তর্জাতিক ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: ভারত-অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর বড় ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে ভারত। ১২ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে এ হামলার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় সতর্ক থাকতে তিন বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কলকাতা টোয়েন্টিফোর-সেভেন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, পাক জঙ্গিরা যে খুব কাছ থেকেই গতিবিধির ওপর নজর রাখছে-এমন তথ্য আগেই এসেছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, ঠিক ঈদ আর স্বাধীনতা দিবসের মাঝেই হতে পারে সেই হামলা। বিশেষত ঈদে বড়সড় ছক কষা হয়েছ বলে অ্যালার্ট জারি করেছে ইনটেলিজেন্স ব্যুরো।
সূত্রের বরাতে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জঙ্গিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, ঈদ আর স্বাধীনতা দিবসের মাঝে কিছু একটা করতে হবে। ১২ আগস্ট ইদ ও স্বাধীনতা দিবসে ১৫ আগস্ট, তাই এর মাঝেই হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যানবাহনকে টার্গেট করে এ হামলা হতে পারে।
গোয়েন্দা সূত্র আরও বলছে, উপকূলের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হানার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় ৭৫১৪ কিলোমিটারের উপকূল বরাবর গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় জারি হয়েছে সতর্কতা।
এদিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে তথ্য রয়েছে, যে কোনো মুহূর্তে ভারতের বুকে আঘাত হানতে পারে জঙ্গিরা।
এর আগে মুম্বাই হামলার সময়ও করাচি থেকে নৌপথে মুম্বাই ঢুকেই হামলা করেছিল পাক জঙ্গিরা। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, আবারও সেরকমভাবে ভারতের বুকে চরম হামলার রাস্তায় হাঁটছে তারা।
প্রতিবেদন বলছে, ভারতীয় গোয়েন্দাদের তথ্য রয়েছে, জইশ ই মুহম্মদের জঙ্গিনেতা মাসুদ আজহারের ভাই রউফ আজগর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে আনাগোনা বাড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে জইশ প্রশিক্ষণের পর পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে জঙ্গিদের ভারতে প্রবেশ করানোর ছকে রয়েছে রউফ। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে নৌপথে জঙ্গিরা ঢুকবে। কেন্দ্রের হাতে এই তথ্য আসতেই জারি হয়েছে সতর্কতা। পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে জারি রয়েছে সতর্কতা। নৌবাহিনীও রয়েছে হাই-অ্যালার্টে।
দিল্লি, রাজস্থান, পাঞ্জাব, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে এই হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে৷ হামলার মদত দেয়ার জন্য তথ্য সরবরাহ করছে পাকিস্তান গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যে কায়দায় পুলওয়ামায় হামলা চালানো হয়েছিল, সেই একই কায়দায় এই সাত রাজ্যে হামলা চালানো হতে পারে বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের আশঙ্কা।