অনলাইন ডেস্ক, সিটিজেন নিউজ: তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের আমন্ত্রণে ঢাকায় আসেন তিনি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে পৌঁছানোর পর ড. আব্দুল মোমেন জয়শঙ্করকে অভিবাদন জানান।
আগামীকাল মঙ্গলবার ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এস জয়শঙ্কর। রাষ্টীয় অতিথি ভবন যমুনায় বেলা ১১টায় এ বৈঠক হবে।
বৈঠকের পর দুপুর ১২টায় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন। বৈঠকে অমীমাংসিত তিস্তা চুক্তিসহ দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্র।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরসূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন জয়শঙ্কর। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
সূত্র জানায়, আগামী অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরে যাবেন। জয়শঙ্করের ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই জয়শঙ্করের প্রথম বাংলাদেশ সফর। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, তার সফরে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব বিষয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া আগামী অক্টোবরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য নয়াদিল্লি সফর নিয়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশে এটা প্রথম সফর হলেও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর জয়শঙ্করের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের গত জুনে তাজিকিস্তানে প্রথম সাক্ষাৎ ও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে অমীমাংসিত তিস্তাসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারতের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন ড. মোমেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন জয়শঙ্কর।
সূত্র জানায় দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্যই বাংলাদেশ সফর করছেন জয়শঙ্কর। সফরে অবৈধ অভিবাসন ও অনুপ্রবেশ, কানেক্টিভিটি, রোহিঙ্গা সংকট এবং দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত তিস্তাসহ সব অভিন্ন নদীর পানির বণ্টন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
সফরশেষ আগামী ২১ আগস্ট নয়াদিল্লি ফিরে যাবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. একে আব্দুল মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ভারতের আমন্ত্রণে নয়াদিল্লিতে গত জানুয়ারিতে প্রথম বিদেশ সফর করেন।