আন্তর্জাতিক ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: এবার মালয়েশিয়ার সব প্রদেশেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতীয় ইসলামিক বক্তা জাকির নায়েক। এর আগে মালয়েশিয়ার সাত প্রদেশে তার বক্তৃতা দেয়ায় নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। এবার দেশটির সবগুলো প্রদেশেই তাকে নিষিদ্ধ করা হলো।
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। এর আগে দেশটির জোহর, সেলাংগর, পেনাং, কেদাহ, পেরলিস, সারাওয়াক এবং মেলাকা প্রদেশে তার বক্তৃতা দেয়ার ওপর নিশেধাজ্ঞা আনা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ভারতীয় হিন্দু এবং চীনাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন জাকির নায়েক।
ওই অনুষ্ঠানে তিনি মালয়েশিয়ায় বসবাসরত চীনা বংশোদ্ভূত নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন যে, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের চেয়ে মালয়েশিয়ার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ১০০ গুণ বেশি অধিকার ভোগ করছেন। তার এমন মন্তব্যকে ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়। এরপরেই মালয়েশিয়ার তিন মন্ত্রী তার স্থায়ী নাগরিকত্ব কেড়ে নেবার আহ্বান জানান।
এর আগে গত রোববার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, চীনা বংশোদ্ভূত নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার কথা বলে সীমা লঙ্ঘন করেছেন জাকির নায়েক। সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে জাকির নায়েক মালয়েশিয়ায় শান্তি নষ্ট করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যেই জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ১১৫টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, নিজের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে জাকির নায়েক বলেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি মোটেও বর্ণবাদী নন। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন যে, তার সমালোচকরা তার বক্তব্যকে ভুলভাবে নিয়েছেন এবং তার বক্তব্যে মনগড়া কথা যোগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যদিও আমি আমার বক্তব্য পরিষ্কার করেছি। কিন্তু তবুও আমার কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে তার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি। এখানে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি কারো অনুভূতিতে আঘাত করতে চাই না।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিনের ঘটনা লক্ষ্য করলে দেখবেন মালয়েশিয়ায় আমার বিরুদ্ধে জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। আমার সমালোচকরা নির্দিষ্ট কিছু শব্দ ব্যবহার করে আমার ওপর আক্রমণ করছেন। তারা আমার বক্তব্যকে রং মাখিয়ে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এসব ভুল বক্তব্যের কারণে অমুসলিমরা তাকে বর্ণবাদী মনে করবেন। তিনি আরও বলেন, যারা এসব কথায় আঘাত পেয়েছেন তারা আমার মূল বক্তব্য শোনেননি।