ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে মশা থেকে বাঁচতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আমদানিকারকরা বলছেন, প্রস্তুতির তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন।
রাজধানীসহ দেশের মানুষের এখন এডিস মশার কাছে জিম্মিদশা। সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের মশানিধন কার্যক্রম তেমন কাজে আসছে না। এ অবস্থায় নিজেকে ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচাতে মানুষ বেছে নিয়েছে মসকিউটো রিপেলেন্ট, লোশন, রিস্টব্যান্ড এবং বিশেষ ধরনের টিস্যু পেপার জাতীয় পণ্য। এসব বিদেশি পণ্যের সঙ্গে দেশি মশার কয়েল, অ্যারোসল এবং মশারির চাহিদাও কয়েকগুণ বেড়েছে।
গত এক বছরে এসব ওষুধ ও সামগ্রী ১০ শতাংশও বিক্রি হয়নি। অথচ এবার ৯০ শতাংশ বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেডিসিনপ্লাস এসোসিয়েট’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর নওশিন শাকিলা।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, গত তিন বছরে এসব পণ্যের মোট যত চাহিদা ছিল এবারের তিন সপ্তাহের চাহিদাই তার চেয়ে বেশি।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, ডেঙ্গুর প্রকোপকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে এসব ওষুধ ও সামগ্রীর সংকট সৃষ্টি করে কয়েক গুণ দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সংকট কাটিয়ে সারা বছরের জন্য মশা থেকে বাঁচার ওষুধ ক্রেতাদের হাতের নাগালে আসবে।