অনলাইন ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: পারস্যের কবি শেখ সাদী তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘গুলিস্তাঁ’র পর রচনা করেন তার আত্মজৈবনিক কাব্যগ্রন্থ ‘শেখ সাদীনামা’। সেই কাব্যগ্রন্থ অবলম্বনে চন্দ্রকলা থিয়েটার ঢাকার মঞ্চে মঞ্চস্থ করল নাটক ‘শেখ সাদী’।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মঞ্চে ‘শেখ সাদী’-র উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মহাসচিব কামাল বায়েজীদ।
অপূর্ব কুমার কুন্ডুর রচনায় নাটকটির নির্দেশনা ও নাম ভূমিকায় একক অভিনয় করেছেন এইচ আর অনিক।
অপূর্ব কুন্ডু বলেন, ‘শেখ সাদীর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় ছিল ছন্দময়। ইতিহাস ও কাব্য তার জীবনের সঙ্গে মিশে আছে একাকার হয়ে। সাহিত্য থেকে ইসলামী দর্শন সবকিছুতেই মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছিলেন জগদ্বিখ্যাত এই কবি, তাত্ত্বিক ও সুফি সাধক। ইতিহাস, দর্শন ও সাহিত্যের এক অনন্য মিশেল শেখ সাদী।’
এটি ছিল চন্দ্রকলা থিয়েটারের ১৮তম প্রযোজনার উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
এক ঐতিহাসিক মুহূর্তকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে নাটকটির কাহিনী।
দিল্লির যুবরাজ মুহম্মদ বুলবন তার সময়কালে এক বিশ্ব কবি সম্মেলনের আয়োজন করেন, যেখানে মুখ্য কবি হিসাবে আমন্ত্রণ পান শেখ সাদী।
শেখ সাদীর বন্ধু দিল্লির কবি আমীর খসরু আমন্ত্রণপত্র রচনা করেন এবং শেখ সাদীর আগমন নিশ্চিত করতে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে আহ্বান জানান।
তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেবার দিল্লী আসা হয়নি শেখ সাদীর।
স্বশরীরে না যাবার ক্ষেত্রে অপরাপর আরেকটি কারণ ছিল, শেখ সাদী চেয়েছিলেন তার অন্তিম বেলা কাটুক ইরানের সিরাজী নগরীতে, যেখানে তার জন্ম-শৈশব-কৈশোর ও যৌবনের বেড়ে ওঠা।
সিরাজ ত্যাগ করে দিল্লী না গেলেও যুবরাজ ও কবি বন্ধুর প্রতি সম্মান জানিয়ে সাদী তার রচিত ‘গুলিস্তাঁ’, ‘বুলিস্তাঁ’সহ অন্য রচিত গ্রন্থ তুলে দেন সিরাজীতে অভ্যাগত দিল্লির রাষ্ট্রীয় অতিথিদের হাতে।
ইতিহাসের এই সত্যকে ঘিরেই নাটকটি শুরু হয়।
‘শেখ সাদী’র প্রযোজনা সহযোগী হিসেবে রয়েছে ঢাকার ইরানিয়ান কালচারাল সেন্টার।