নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চেহলামে খাবার বিতরণ নিয়ে হট্টগোল দেখা গেছে।
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ চিত্র দেখা যায়।
এ সময় মাইক থেকে বারবার বলা হয়, পর্যাপ্ত খাবার আছে। আপনারা বিশৃঙ্খলা করবেন না। খাবারের প্যাকেট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে খাবার বিতরণ বন্ধ রেখে সকলকে বসিয়ে রাখা হয়। পরে আবার খাবার বিতরণ করা হয়।
এর আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আজীবন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কাজ করেছেন। দেশ ও মানুষের অধিকারের প্রশ্নে কখনও আপস করেননি।
তিনি বলেন, রাজনীতির চারভাগের একভাগ সময়ে দেশ পরিচালনা করে উন্নয়নের অসামান্য কীর্তি গড়েছেন এরশাদ। বিরোধীদলীয় নেতা বা বিরোধী দলের সারিতে থেকেও গণমানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
জিএম কাদের বলেন, এরশাদ ছিলেন এদেশের মানুষের মনের রাজা। তিনি দেশবাসীর অন্তর জয় করে অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়েই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। এরশাদ সবসময় দেশের মানুষের মনের ভাষা বুঝতেন। দেশের মানুষের মতামতের ওপর শ্রদ্ধা রেখেই দেশ পরিচালনা করছেন।
তিনি আরও বলেন, সব বিরোধী দলের বিরোধিতা উপেক্ষা করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। সব বিরোধিতা অগ্রাহ্য করে জাতিসংঘ শান্তিমিশনে সৈন্য পাঠিয়েছিলেন। এখন দেশবাসী এরশাদের সব কাজের সুফল ভোগ করছেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, এসএম ফয়সল চিশতী, সাহিদুর রহমান টেপা, সৈয়দ মো. আব্দুল মান্নান, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, উপদেষ্টা ড. মো. নূরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান- জহিরুল ইসলাম জহির, আরিফুর রহমান খান, সরদার শাহজাহান, হেনা খান পন্নি, জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, শেখ আলমগীর হোসেন, মনিরুল ইসলাম মিলন, হাসিবুল ইসলাম জয়, অ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু, সুলতান আহমেদ সেলিম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসহাক ভুইয়া, ফকরুল আহসান শাহজাদা, হারুন অর রশিদ, মো. আশরাফুজ্জামান খান, সুলতান মাহমুদ, সুজন দে, শারমিন পারভীন লিজা, অ্যাডভোকেট লাকী বেগম, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, হুমায়ুন খান, ইফতেকার আহসান হাসান, গোলাম মোস্তফা, সুমন আশরাফ, সৈয়দা পারভীন তারেক, হাফেজ কারি ইছারুহুল্লা আসিফ, মিজানুর রহমান মিরু, মেহেজেবুন্নেছা টুম্পা, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সাত্তার গালিব, মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান মাসুদ, আব্দুস সাত্তার গালিব, অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব, নাজমুল খান, এনাম জয়নাল আবেদীন, ওমর আলী খান মান্নাফ, আবু সাদেক বাদল, অ্যাডভোকেট সেরনিয়াবাদ সেকেন্দার আলী, মির্জা ইকবাল, মঞ্জুরুল হক সাচ্চা, এমএ সোবহান, মাহবুবুর রহমান খসরু, রিতু নুর, হাসনা হেনা, মোমেনা বেগম, খুররাম ভুইয়া, তাসলিমা আকবর রুনা, জেসমিন নুর প্রিয়াংকা, এমএ হান্নান, আসমা আশরাফ, অঙ্গসংগঠন নেতা কামাল হোসেন, সমরেশ মন্ডল মানিক, আজিজুল হুদা সুমন, আরিফুল ইসলাম রুবেল, শেখ মোহাম্মদ শান্ত, নুরুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, মনির খান, সালাউদ্দিন প্রমুখ।
এরশাদের চেহলাম উপলক্ষে রাজধানীতে ৫১টি এবং রংপুরে ৩৫টিসহ সারাদেশের সব উপজেলা ও ইউনিয়নে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।