নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ:এডিস মশা নির্মূলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) চলমান ‘এডিস মশা ধ্বংসকরণ ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান’ অর্থাৎ ‘চিরুনি অভিযান’ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত রয়েছে।
চিরুনি অভিযানের দশম দিন মঙ্গলবার ডিএনসিসির ৩৬টি ওয়ার্ডে ১১ হাজার ১৮২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ৯০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা খুঁজে পায় পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধনকর্মীরা।
লার্ভা পাওয়া এসব বাড়ি ও স্থাপনায় ‘এ বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে’ লেখা স্টিকার লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া ৬ হাজার ৫৬২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান-জমে থাকা পানি পাওয়া গেছে। অভিযানে এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী এসব স্থান ধ্বংস করা হয়।
ডিএনসিসির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন জানান, গত ২৫ আগস্ট থেকে ১০ দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ১ লাখ ৬ হাজার ৯৮২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ১ হাজার ৮৯৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৫৮ হাজার ১৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান/জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। সেসব স্থান ধ্বংস করে লার্ভিসাইড প্রয়োগ করা হয়।
তিনি জানান, চিরুনি অভিযানকালে মাটির পাত্র, ফুলের টব, পানির ট্যাংকের নিচ, ড্রাম, চিপ্সের প্যাকেট, পরিত্যক্ত পানির হাউজ, কলসি, পরিত্যক্ত বেসিন, কমোড ও টয়লেটের ফ্লাশ, বালতি, টায়ার, খাবারের প্লাস্টিক-প্যাকেট, লিফটের নিচ, নির্মাণাধীন ভবন, ডোবা, পলিথিন, ডাবের খোসা, নিচু জায়গা, ছোট পাত্র, নারিকেলের মালা, পানির ড্রাম, মাটির হাড়ি, প্লাস্টিকের পাত্র, বাড়ির ছাদ, দুই বাড়ির মধ্যবর্তী স্থান, ওয়াসার মিটার, গ্যারেজ ইত্যাদি জায়গায় এডিস মশার লার্ভা এবং এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
আজ মিরপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় দুটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেলে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া উত্তরার ৪ ও ৭ নং সেক্টরে অবৈধভাবে স্থাপিত ২৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন।