অনলাইন ডেস্ক: মহাত্মা গান্ধী প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ আজকের দিনে আমি চাই যে, গান্ধীজির মানবিক আদর্শ ও নীতিগুলো সমস্ত বিভাজনে জয় লাভ করবে এবং আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য একটি ন্যায়সংগত বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করবে।’
মঙ্গলবার বিকেলে (স্থানীয় সময়) জাতিসংঘ সদর দফতরে গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
‘লিডারশিপ ম্যাটারস- রিলেভ্যান্স অব মহাত্মা গান্ধী ইন দ্য কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভারতীয় মিশন। এতে বাংলাদেশ, ভারত, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ সাত দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, গান্ধীজির জীবন দর্শন এবং সব মানুষের প্রতি তার দ্বিধাহীন সমর্থন করার আদর্শ ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মতো বিশ্বব্যাপী উদ্বেগময় চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলায় আজও আমাদের একত্রিত করতে পারে।’
তিনি বলেন, গান্ধীজি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করতেন, যা ব্যক্তির মধ্যে থাকে এবং যার মালিক জনগণ নিজেই। সামাজিক অবস্থান, প্রথা, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের প্রতি তার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও স্নেহ তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দিয়েছিল।
‘তিনি তার উজ্জ্বল ও মন্ত্রমুগ্ধ নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকে দেখিয়েছিলেন, কোনো ব্যক্তি অহিংস উপায়ে পৃথিবীকে নাড়া দিয়ে এমন সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে পারেন। গান্ধীজি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, একজন রাষ্ট্রনায়ক এবং সাধু। তিনি তার জীবনকে মানবজাতির জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি ছিলেন আশার বাতিঘর, অন্ধকারে আলো এবং হতাশায় ত্রাণকর্তা।’
‘আমরা এমন এক বিশ্বে বাস করছি, যেখানে ঘৃণা ও ধর্মান্ধতা বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার দিকে পরিচালিত করছে। মানব জাতিকে আগের চেয়ে আরও বেশি বিভক্ত করছে’,- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।