আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রায় দুই মাস ধরে কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতারা গৃহবন্দি হয়ে আছেন। অবশেষে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর সত্যপাল মালিকের এক উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন।
জম্মুর নেতাদেরও একটি অংশ গৃহবন্দি ছিলেন। তাদের বুধবারই মুক্তি দেয়া হয়েছে। সামনেই ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন। এ কারণেই জম্মু-কাশ্মীরের নেতাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে।
কয়েতদিন আগেই এই নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কাশ্মীরের যেসব নেতারা বন্দি হয়ে আছেন তাদের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে গভর্নরের উপদেষ্টা ফারুক খান বলেন, একে একে প্রত্যেকের বিষয়ে আলাদা করে বিশ্লেষণ করা হবে। এরপরেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর রাজ্যের প্রায় চার শতাধিক রাজনৈতিক নেতাকে হয় আটক করা হয়েছে নয়তো গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাহ, ফারুক আবদুল্লাহও রয়েছেন। গত ৫৮ দিন ধরে কাশ্মীর উপত্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। নেই ইন্টারনেট পরিষেবাও।
নিরাপত্তার কারণেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। গত আগস্টে মেহবুবা মুফতির মেয়ে সানা লিটজিয়া জাভেদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানান, তিনি তার মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। কেননা তিনি তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তার অভিযোগ, কাশ্মীরে মানুষকে পশুর মতো খাঁচাবন্দি করে রাখা হয়েছে। সাধারণ মানবাধিকার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না।
তবে এক সপ্তাহ ধরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে কাশ্মীর। যদিও এখনও কিছু কিছু জায়গায় নিষেধাজ্ঞা আরোপিত রয়েছে। সব দোকান-পাট এখনও খোলেনি। স্কুলগুলোতেও উপস্থিতির হার কম। আগামী ২৪ অক্টোবর ৩০০টি ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন। সেখানে ২৬ হাজার পঞ্চায়েত সদস্য ভোট দেবেন।