অনলাইন ডেস্ক: মুসলিম থাকার তো কোনো দরকার নেই। বরং নিজের ধর্ম পাল্টে ফেলাই উচিত তৃণমূল সাংসদ ও টলিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের। দুর্গাপূজায় অংশ নিয়ে অঞ্জলি দেয়ায় নুসরাতের ওপর ক্ষুব্ধ মুসলিম ধর্মগুরুরা এভাবেই নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তাদের দাবি, ভিন্ন ধর্মের উৎসবে অংশ নিলেও তাতে সক্রিয় ভাবে যোগদানের কোনো প্রয়োজন ছিল কি? তাহলে নুসরাত নিজের ধর্ম পরিবর্তন করলেই পারেন। অষ্টমীতে স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে সুরুচি সংঘের পূজায় অংশ নিতে দেখা যায় নুসরাতকে। তাদের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
উত্তরপ্রদেশের দারুল উলুম দেওবন্দের এক ইমাম বলেন, এভাবে মুসলিম হয়ে আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা যায় না। ইসলাম এসব সমর্থন করে না, কারণ তা হারাম। কোনো মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ অন্য ধর্মের হয়ে উপাসনা করতে পারেন না। সেটা করতে হলে তাকে ধর্মান্তরিত হতে হবে।
শুধু ইমামরাই নন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই নুসরাতের ঢাক বাজানো ও অঞ্জলি দেয়ার ভিডিও দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, নুসরাত জাহানের এজন্য শাস্তি পাওয়া উচিত। মুসলিম হয়েও তিনি অন্য ধর্মাবলম্বীদের মতো আচরণ করার সাহস কোথা থেকে পান?
গতকাল অষ্টমীর সকালেই নুসরাত-নিখিল দম্পতি দক্ষিণ কলকাতার সুরুচি সংঘের পূজামণ্ডপে যান। স্বামী স্ত্রী রঙ মিলিয়ে পোশাকও পরেন। নুসরাত লাল শাড়ির সঙ্গে হলুদ ব্লাউজ, সিঁথিতে সিদুর, খোঁপায় ফুল ও ভারী গয়না। অপরদিকে নুসরাতের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে পাঞ্জাবি পরেছিলেন নিখিল।
পূজামণ্ডপে যাওয়ার পর অষ্টমীতে পুষ্পাঞ্জলি দেন নুসরাত ও নিখিল। তারপর নুসরাত কোমরে শাড়ি গুঁজে স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে ঢাক বাজানো শুরু করেন। পাঞ্জাবির হাতা গুটিয়ে নুসরাতের পাশেই ঢাক বাজাতে দেখা যায় নিখিলকে। নব দম্পতিকে সঙ্গ দেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।