আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি মাসেই ইরান ও সৌদি আরবে সফরে যাবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা কমিয়ে আনতে ইসলামাবাদের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এ সফর করবেন তিনি। পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার এক কর্মকর্তা বলেন,আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তেহরান এবং রিয়াদে সফর করবেন ইমরান খান। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তার সফরের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরান ও সৌদির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যকার উত্তেজনা কমিয়ে আনতে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে দু’দেশে সফর করবেন ইমরান খান।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদির দু’টি তেলক্ষেত্রে হামলার পর থেকেই তেহরান এবং রিয়াদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। ওই হামলা দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। তবে হামলার জন্য প্রথম থেকে ইরানকেই দায়ী করে আসছে সৌদি এবং যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ওই হামলার দায় অস্বীকার করেছে তেহরান।
পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশ ইরান এবং সৌদির মধ্যকার উত্তেজনা কমিয়ে আনতে মধ্যস্ততা করার চেষ্টা করছে। গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও দু’দেশের মধ্যকার উত্তেজনা কমিয়ে আনতে মধ্যস্ততা করার প্রস্তাব দেন।
ইমরান খান জানান, ইরানের সঙ্গে সৌদির উত্তেজনা কমিয়ে আনতে সহায়তা করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেয়ার আগে রিয়াদে সফর করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে ক্রাউন প্রিন্সের বিশেষ বিমানে করেই নিউইয়র্কে পৌঁছান তিনি।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানীর সঙ্গেও তার সাক্ষাত হয়। এক কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক সমস্যা সমাধানে আলোচনা করতে রিয়াদ এবং তেহরানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে পাকিস্তান।