বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

বিশ্বব্যাংকের ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২৪০ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৭ দশমিক ৩ শতাংশে। ২০১৯ অর্থবছরে শিল্প, ক্রমবর্ধমান রপ্তানি, অভ্যন্তরীণ ব্যয় ও রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্সের কারণে অর্থনীতি স্থিতিশীল শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হবে বলেও মনে করছে সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেটে এই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। আগারগাঁওয়ের বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে গতকাল এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

জাতীয় বাজেটে এ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।

অন্য আরেকটি ঋণপ্রদানকারী সংস্থা এডিবির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি ২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ৮ শতাংশ হবে। পাশাপাশি সরকারি হিসেব অনুযায়ী এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ৮ দশমিক ১ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে- আর্থিক খাতের সুশাসন নিশ্চিত করা, রাজস্ব আদায়ের দুর্বলতা, রিয়েল ইফেকটিভ এক্সচেঞ্জ রেটের অ্যাপ্রিসিয়েশন। এছাড়া পলিসি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বলা হয়েছে- খেলাপি ঋণ কমানো, কর নীতি এবং প্রশাসনের সংস্কার, সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে মান রক্ষা এবং সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি রোধ করা, ডুয়িং বিজনেস পরিবেশ উন্নয়নে সংস্কার এবং চলমান সংস্কারগুলো দ্রুত কার্যকর (ব্যবসার খরচ কমানো), মানবসম্পদকে পুঁজিতে রূপান্তরের জন্য দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, প্রবৃদ্ধির সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নয়। টেকসই প্রবৃদ্ধির গতিধারাই মূল বিষয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে ডুয়িং বিজনেস পরিবেশ উন্নত করতে হবে। কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই জরুরি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই।’

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। গত অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। বাজেটে সরকারিভাবে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ। সে হিসেবে এক্ষেত্রেও লক্ষ্যের চেয়ে বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ব্যাংক খাত সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই খাতটি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ব্যাংক থেকে যে ঋণ দেয়া হয়, তা ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এতে সরকারি ব্যাংকগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের গ্যারান্টি দেয়ার কারণে ঋণপত্র খোলায় খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com