ডেস্ক: যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতাল থেকে আজ সকালে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মহসিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার সকালে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা সম্রাটকে দেখেছেন। বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ার পর তাকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ মাহাবুবুল ইসলাম।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতারকৃত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট অসুস্থ বোধ (‘বুকে ব্যথা’) করায় গত মঙ্গলবার সকালে প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
সম্রাটের চিকিত্সায় সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার পর গত রবিবার ৬ অক্টোবর সম্রাটকে রাখা হয়েছিল কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে।
গত ৫ অক্টোবর গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওই গ্রামের জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে আটক করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে ৬ অক্টোবর দিনভর রাজধানীতে সম্রাট ও আরমানের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব।
এছাড়া মদ্যপ অবস্থায় পেয়ে আটকের সময়ই আরমানকে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এরপর সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আর আরমানের জায়গা হয় কুমিল্লা কারাগারে।