আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, তার দেশের কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুরস্ক যে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে, বৈধ সম্ভাব্য সব উপায়ে দামেস্ক এর জবাব দেবে।
সিরিয়ায় সফররত ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টা ফালিহ আল-ফাইয়াজের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাজধানী দামেস্কে এক বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট আসাদ এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশিদের যে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করা হয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের এই অপরাধমূলক আগ্রাসন তারই অংশ।
প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেন, এই অভিযান সম্পর্কে তুরস্ক যত কথাই বলুক না কেন, এটি চরমভাবে সিরিয়ার জাতীয় সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। এর আগে সিরিয়া তুরস্কের মদদপুষ্ট বহু সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এবার তুরস্কের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সিরিয়া তার সমস্ত বৈধ মাধ্যমে জবাব দেবে।
এদিকে শুক্রবার তুরস্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে তুরস্ক যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে তারা।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। দু’জনের ওই সাক্ষাতের পরেই যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির কথা জানিয়েছে তুরস্ক।
পাঁচদিনের জন্য সব ধরনের লড়াই বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সীমান্ত থেকে কুর্দি বাহিনীকে হটাতে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তুরস্ক। মাইক পেন্স জানিয়েছেন, এ কাজে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র। অন্তত ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত কুর্দিদের হটিয়ে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরি করতে চায় তুর্কি বাহিনী।
তুরস্কে থাকা ৩০ লাখের বেশি সিরীয় শরণার্থীকে ওই অঞ্চলে পুনর্বাসিত করার পরিকল্পনার কথাও বলেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। তবে সমালোচকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এর ফলে ওই অঞ্চলে বসবাসরত কুর্দিরা জাতিগত নিধনের শিকার হতে পারে। তুরস্ক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও কুর্দি বাহিনী ওয়াইপিজে এ বিষয়ে সম্মত হয়েছে কিনা তা এখনও পরিস্কার নয়