মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন সর্বদাই জাতির প্রত্যাশা

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২০৯ বার পঠিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: আলোচিত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ দুঃখজনক। একটি দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন সর্বদাই জাতির প্রত্যাশা। দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াও দুর্নীতির আওতামুক্ত নয়। যে সব জনপ্রতিনিধি অবৈধ উপায়ে বা দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনে জয়যুক্ত হন, তাদের নির্বাচনের কোনো বৈধতা থাকে না।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁও ইটিআই ভবনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম যুগোপযোগীকরণ এবং ভোটার নিবন্ধন-সংক্রান্ত ফরমসমূহ পুনর্বিন্যাসকরণ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।

মাহবুব তালুকদার বলেন, যে সব জনপ্রতিনিধি অবৈধ উপায়ে বা দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনে জয়যুক্ত হন, তাদের নির্বাচনের কোনো বৈধতা থাকে না। জনগণের প্রতি অবৈধ জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্ন ওঠে না। এতে গণতন্ত্র সুসংহত ও যথাযথভাবে সংরক্ষিত হতে পারে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই জাতির অভীষ্ট। গণতন্ত্রবিহীন জাতি আত্মমর্যাদাহীন। আমরা বিশ্বসভায় মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আত্মপরিচয় সমুন্নত রাখতে চাই।

এর আগে শনিবার বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছিলেন, জনগণ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিয়ে বলছি, ‘এই নির্বাচনে আমিও নির্বাচিত হয়েছি, কিন্তু জনগণ ভোট দিতে পারেনি।’ তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমি নিজেও আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। অথচ আজ সেই ভোটে সাধারণ জনগণ নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে না। এমনকি উপজেলা নির্বাচন, ইউনিয়ন নির্বাচনেও ভোটের অধিকার হারাচ্ছে মানুষ।’

মাহবুব তালুকদার বলেন, কোনো সুষ্ঠু সুন্দর আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্তই হলো সুষ্ঠু, সত্য ও বিশ্বস্ত ভোটার তালিকা। সত্য ও বিশ্বস্ত শব্দ দুটি এখানে বিশেষভাবে প্রযোজ্য। এর কারণ হচ্ছে একসময়ে ভোটার তালিকায় বিপুল সংখ্যক অস্তিত্বহীন বা দ্বৈত ভোটার চিহ্নিত হয়। বিভিন্ন জরিপ প্রতিবেদনে তার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়। তৎকালীন ভোটার তালিকাটি ছিল অকার্যকর। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটে ছবিসহ নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়নে। ছবিসহ বায়োমেট্রিক ডাটাবেজ তৈরি দেশের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এখন পর্যন্ত সেই ডাটাবেজ ধরেই আমরা ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছি।

তিনি আরও বলেন, এ কথা অনস্বীকার্য যে অস্তিত্বহীন বা ভুয়া ভোটার তালিকা নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সেই অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ পেয়েছি। প্রসঙ্গত মনে রাখা প্রয়োজন যে, নির্বাচন কমিশন যদি সরকার বা রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলিহেলনে আন্দোলিত হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন সত্তার বিকাশ ও প্রকাশ সম্ভব নয়। ভোটার তালিকা তৈরির সূচনা থেকে ভোটের ফল প্রকাশ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন না থাকলে সমগ্র নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। এতে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য স্বাভাবিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না।

এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম যুগোপযোগীকরণের পর সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ
রয়েছে উল্লেখ করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে ছলে, বলে বা কৌশলে ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রয়োজন। রোহিঙ্গাদের ভোটার করার বিষয়ে যদি কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে মৃত ব্যক্তিদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকা দরকার। নবাগতদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করার জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষ জনবল গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com