নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রেড পরিবর্তন ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের পূর্বঘোষিত সমাবেশে বাধা দিয়েছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকরা প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ জন শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে শিক্ষক নেতারা দাবি করছেন।
ছত্রভঙ্গ হয়ে শিক্ষকরা ‘শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য মানি না মানব না’, ‘দাবি মোদের একটাই আদায় ছাড়া যাব না’, ‘দাবি মোদের একটাই ১০-১১ গ্রেড চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন। দফায় দফায় শিক্ষকরা সমবেত হয়ে স্লোগান দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
শিক্ষক নেতা তপন কুমার দাবি করে বলেন, শিক্ষকরা সমবেত হয়ে স্লোগান দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে। পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ জন শিক্ষক আহত হয়েছেন।
কোতোয়ালি থানার আই আই টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বন্যা খাতুন বলেন, প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের দাবি জানাতে আমরা মহাসমাবেশে যোগ দিতে এসেছি। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে শহীদ মিনারে আসলেও পুলিশ আমাদের ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের ন্যায্য দাবি জানাতে সমবেত হয়েছি। অথচ পুলিশ আমাদের শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ করে সাত-আটজন শিক্ষককে আহত করেছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও অনেক শিক্ষক লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরে যাব না। পুলিশ আমাদের মহাসমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিলেও শিক্ষকরা চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছেন। সুযোগ পেলে আবারও সবাই শহীদ মিনারের সামনে সমবেত হবেন।
উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার দাবিতে গত ১৪ অক্টোবর সারাদেশের ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরদিন ১৫ অক্টোবর পালন করা হয় তিন ঘণ্টার কর্মবিরতি। ১৬ অক্টোবর এসব বিদ্যালয়ে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এছাড়া গত ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে যান শিক্ষকরা।
আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেন। যদিও সোমবার (২১ অক্টোবর) ডিপিই’র মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় সমাবেশে যোগ না দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ছুটির দিনে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।